বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: গত ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র উমরার কার্যক্রম শুরু হয়। সফলভাবে প্রায় এক মাস পর রোববার (১ নভেম্বর) থেকে বিদেশিরা পবিত্র উমরা পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।এখন থেকে দৈনিক ২০ হাজার মুসল্লি উমরা পালন এবং ৬০ হাজার মুসল্লি মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন।
বৈশ্বিক করোনা মহামারি দূর হওয়ার পর মসজিদে হারাম ও উমরার কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উমরার যাত্রীরা সৌদি আরব এসে পৌঁছেছেন।
সৌদি আরবের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, উমরার তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, লেবানন, ওমান, সুদান, তিউনিসিয়া ও পাকিস্তানের নাগরিকরা ভিসা পেয়েছেন। অন্য দেশগুলোও দ্রুত ভিসা পাবে বলে জানানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে যেসব দেশে করোনার প্রকোপ কমেছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে তারা অগ্রাধিকার পাবেন। সৌদি আরবের অনুমোদিত ৫৩১টি উমরা কোম্পানি পুরোপুরি প্রস্তুত উমরার যাত্রীদের সেবাদানের জন্য। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিদেশি উমরার যাত্রীদের জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে-
১. উমরা পালনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৫০ এর মধ্যে হতে হবে।
২. সৌদিতে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে করোনা টেস্ট করতে হবে।
৩. উমরা আদায়, হারামাইনে নামাজ, মদিনা ও রওজা শরিফ জিয়ারতের ‘ইতামারনা’ অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করে তাসরিয়া (অনুমতি) নিতে হবে। এ বিষয়ে সৌদি আরবের উমরা এজেন্সিগুলো প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।
৪. খাবারসহ হোটেল বুকিং করতে হবে।
৫. হোটেলে এসে প্রথম তিন দিন অবস্থান করতে হবে, এর পর উমরা করতে হবে।
৬. ভ্রমণের ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ফ্লাইট নম্বরসহ যাত্রীর যাবতীয় তথ্য উমরার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটের সিস্টেমে জমা দিতে হবে।
৭. প্রত্যেক গ্রুপে ৫০ জন উমরার যাত্রী থাকবে এবং একজন গাইড থাকবে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, পবিত্র উমরা পালনে বিদেশ থেকে আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের সাবধানতা এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এদিকে উমরা পালনকারী ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে মসজিদে হারামের অভ্যন্তর, বহিরাংশ ও মাতাফসহ পুরো কাবা এলাকায়। ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী এ কাজে নিয়োজিত। প্রতিদিন স্প্রে করা হয় ১ হাজার ২০০ লিটার জীবাণুনাশক।
পুরো মসজিদে হারাম এলাকা ১০ বার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ডিজিটাল মেশিনে পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত প্রযুক্তির ডিটারজেন্ট এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়। সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিদিন ১২ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পবিত্র সুগন্ধি ছিটানো হয়।
বিজনেস আওয়ার/০১ নভেম্বর, ২০২০/এ