ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঁজিবাজারের ৫ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ কবির

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • 35

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন দেশের ২৩টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার শীর্ষপদে ছিলেন। এরমধ্যে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ৫টি প্রতিষ্ঠানের ন্যাশনাল টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান এবং বেস্ট হোল্ডিংয়ের (লা মেরিডিয়ান হোটেল) স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন।

শেখ কবির হোসেনের বয়স ৮২ বছর। মাসের বেশিরভাগ সময় অসুস্থ্য থাকেন। অসুস্থতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মিটিংয়েও নিয়মিত অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু তার নাম ভাঙিয়ে এবং কখনো ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি নানা সুবিধা পেয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। আবার কোনো কোম্পানি দখল করার পর তাকে সামনে রাখা হয়েছে।

এসব কোম্পানির নেপথ্যে মালিকানায় ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং সরকারের সুবিধা নেওয়া একাধিক ব্যবসায়ী। এসব সংস্থার মূল কাজেও একধরনের স্থবিরতা ছিল। কিন্তু বিশেষ সুবিধা নিতে তাকে সামনে রাখা হয়। আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি নিজেও সুবিধা নিয়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) শেয়ারবাজারে সবচেয়ে স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় শেয়ারবাজারের তথ্যভান্ডার। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ কবির। কিন্তু চেয়ারম্যান থাকলেও বোর্ড মিটিংয়ে নিয়মিত আসতেন না। ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠান চালিয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক পরিচালক নুরুল ফজল বুলবুল। আলোচ্য সময়ে সিডিবিএলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, শেয়ারের তথ্য পাচার এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ আসে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করা আরেক প্রতিষ্ঠান সরকারি ন্যাশনাল টি কোম্পানি। সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নেয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। এরপর শেখ কবিরকে চেয়ারম্যান বানানো হয়। এক্ষেত্রে নাফিজ সরাফাতসহ গোপালগঞ্জের ৬ জন পরিচালক ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির এমডিকে বের করে দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটপাট করেছে চক্রটি। এর ফলে লাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি ৫ বছরে ২২৩ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে ব্যাপক সমালোচিত এবং অত্যন্ত বিতর্কিত কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন ছিল জালিয়াতিতে ভরপুর। এই কোম্পানির মালিক অর্থ পাচারের দায়ে অভিযুক্ত আমিন আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বর্তমানে তিনি কারাগারে। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী নাফিজ সরাফাত। প্রথমে তালিকাভুক্তি আটকে দেন বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। পরবর্তী সময়ে সালমান এফ রহমানের হস্তক্ষেপে বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিতে শেখ কবিরকে স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়। আবার শেখ কবিরের প্রতিষ্ঠান কাবিকো লিমিটেডকে ২ লাখ প্লেসমেন্ট দেয় বেস্ট হোল্ডিংস। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এই পরিমাণ শেয়ার ৭০ লাখ টাকায় কিনতে হয়েছে। সুবিধা নিয়েছেন সালমান এফ রহমান, শিবলী রুবাইয়াত, সদ্য বরাখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর সাবেক কোয়ার্টার মাস্টার লেফটেন্যান্ট জেনারেজশেয়ার নিয়েছেন মুজিব। এছাড়াও বেস্ট হোল্ডিং থেকে সুবিধা নিয়েছেন সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স শেয়ারবাজারে বিমা খাতের আলোচিত এক কোম্পানি ছিল। কোম্পানির হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের পাহাড় গড়েন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। ২০২১ সালে কোম্পানিটির পর্ষদ ভেঙে দেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এরপর প্রতিষ্ঠান দখলে নেন সালমান এফ রহমান। কিন্তু চেয়ারম্যান করা হয় শেখ কবির হোসেনকে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার গ্রাহক পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোম্পানিটির কাছে গ্রাহকদের ২ হাজার কোটি টাকার উপরে পাওনা রয়েছে।

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একে এক সব প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ কবির হোসেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। একই সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং অন্য কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হওয়ায় বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ অক্টোবর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পুঁজিবাজারের ৫ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ কবির

পোস্ট হয়েছে : ১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন দেশের ২৩টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার শীর্ষপদে ছিলেন। এরমধ্যে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ৫টি প্রতিষ্ঠানের ন্যাশনাল টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান এবং বেস্ট হোল্ডিংয়ের (লা মেরিডিয়ান হোটেল) স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন।

শেখ কবির হোসেনের বয়স ৮২ বছর। মাসের বেশিরভাগ সময় অসুস্থ্য থাকেন। অসুস্থতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মিটিংয়েও নিয়মিত অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু তার নাম ভাঙিয়ে এবং কখনো ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি নানা সুবিধা পেয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। আবার কোনো কোম্পানি দখল করার পর তাকে সামনে রাখা হয়েছে।

এসব কোম্পানির নেপথ্যে মালিকানায় ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং সরকারের সুবিধা নেওয়া একাধিক ব্যবসায়ী। এসব সংস্থার মূল কাজেও একধরনের স্থবিরতা ছিল। কিন্তু বিশেষ সুবিধা নিতে তাকে সামনে রাখা হয়। আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি নিজেও সুবিধা নিয়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) শেয়ারবাজারে সবচেয়ে স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় শেয়ারবাজারের তথ্যভান্ডার। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ কবির। কিন্তু চেয়ারম্যান থাকলেও বোর্ড মিটিংয়ে নিয়মিত আসতেন না। ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠান চালিয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক পরিচালক নুরুল ফজল বুলবুল। আলোচ্য সময়ে সিডিবিএলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, শেয়ারের তথ্য পাচার এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ আসে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করা আরেক প্রতিষ্ঠান সরকারি ন্যাশনাল টি কোম্পানি। সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নেয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। এরপর শেখ কবিরকে চেয়ারম্যান বানানো হয়। এক্ষেত্রে নাফিজ সরাফাতসহ গোপালগঞ্জের ৬ জন পরিচালক ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির এমডিকে বের করে দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটপাট করেছে চক্রটি। এর ফলে লাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি ৫ বছরে ২২৩ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে ব্যাপক সমালোচিত এবং অত্যন্ত বিতর্কিত কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন ছিল জালিয়াতিতে ভরপুর। এই কোম্পানির মালিক অর্থ পাচারের দায়ে অভিযুক্ত আমিন আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বর্তমানে তিনি কারাগারে। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী নাফিজ সরাফাত। প্রথমে তালিকাভুক্তি আটকে দেন বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। পরবর্তী সময়ে সালমান এফ রহমানের হস্তক্ষেপে বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিতে শেখ কবিরকে স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়। আবার শেখ কবিরের প্রতিষ্ঠান কাবিকো লিমিটেডকে ২ লাখ প্লেসমেন্ট দেয় বেস্ট হোল্ডিংস। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এই পরিমাণ শেয়ার ৭০ লাখ টাকায় কিনতে হয়েছে। সুবিধা নিয়েছেন সালমান এফ রহমান, শিবলী রুবাইয়াত, সদ্য বরাখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর সাবেক কোয়ার্টার মাস্টার লেফটেন্যান্ট জেনারেজশেয়ার নিয়েছেন মুজিব। এছাড়াও বেস্ট হোল্ডিং থেকে সুবিধা নিয়েছেন সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স শেয়ারবাজারে বিমা খাতের আলোচিত এক কোম্পানি ছিল। কোম্পানির হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের পাহাড় গড়েন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। ২০২১ সালে কোম্পানিটির পর্ষদ ভেঙে দেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এরপর প্রতিষ্ঠান দখলে নেন সালমান এফ রহমান। কিন্তু চেয়ারম্যান করা হয় শেখ কবির হোসেনকে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার গ্রাহক পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোম্পানিটির কাছে গ্রাহকদের ২ হাজার কোটি টাকার উপরে পাওনা রয়েছে।

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একে এক সব প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ কবির হোসেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। একই সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং অন্য কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হওয়ায় বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ অক্টোবর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: