ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • 87

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: স্পেনে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২০০ পেরিয়ে গেছে। ঘটনাটি স্পেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সূত্রপাত করেছে। দেশটির দক্ষিণের অঞ্চলগুলো শুক্রবারও ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা আরো জটিল হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টিগ্রেটেড অপারেশনাল কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (সিইসিওপি) জানিয়েছে, ভ্যালেন্সিয়াজুড়ে এ পর্যন্ত মোট ২০২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে এবং এই সংখ্যা আরো বাড়বে। এদিকে কাস্টিলা লা মাঞ্চা অঞ্চলে দুজন এবং আন্দালুসিয়ায় আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে বন্যায় মোট ২০৫ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দুর্যোগ সমন্বয় কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক সভাপতি কার্লোস মাজন বলেছেন, ‘ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলটি বন্যায় সবচেয়ে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ২০২ জন মারা গেছে। প্রতিবেশী অঞ্চলে আরো তিনজন মারা গেছে।’ কর্তৃপক্ষের মতে, নিশ্চিত মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২০৫-এ এসে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা কাদা এবং ধ্বংসাবশেষে আবদ্ধ শহরগুলোর মধ্যে খননকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। দোকান, সুপার মার্কেট, স্কুল, গাড়ি সব শেষ।’গত বৃহস্পতিবার এবং গতকাল শুক্রবারের শেষের দিকে অন্যান্য দক্ষিণাঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টির মধ্যেও বাসিন্দারা হ্যালোইন উদযাপন করেছে।

তবে কর্তৃপক্ষ লোকেদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং শুক্রবার সব ধরনের উদযাপন এড়াতে বলেছে। বন্যার ঝুঁকির জন্য এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ এর দশকের পর এটিই ইউরোপে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্যা। ১৯৭০ সালে রোমানিয়ায় বন্যায় ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আট ঘণ্টা ধরে প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় ভ্যালেন্সিয়ায়। স্পেনের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, সাধারণত এক বছরে স্পেনজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার সমপরিমাণ বর্ষণ ভ্যালেন্সিয়ায় হয়েছে মঙ্গলবার আট ঘণ্টায়।

বিজনেস আওয়ার/ ০২ নভেম্বর/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: স্পেনে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২০০ পেরিয়ে গেছে। ঘটনাটি স্পেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সূত্রপাত করেছে। দেশটির দক্ষিণের অঞ্চলগুলো শুক্রবারও ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা আরো জটিল হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টিগ্রেটেড অপারেশনাল কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (সিইসিওপি) জানিয়েছে, ভ্যালেন্সিয়াজুড়ে এ পর্যন্ত মোট ২০২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে এবং এই সংখ্যা আরো বাড়বে। এদিকে কাস্টিলা লা মাঞ্চা অঞ্চলে দুজন এবং আন্দালুসিয়ায় আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে বন্যায় মোট ২০৫ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দুর্যোগ সমন্বয় কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক সভাপতি কার্লোস মাজন বলেছেন, ‘ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলটি বন্যায় সবচেয়ে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ২০২ জন মারা গেছে। প্রতিবেশী অঞ্চলে আরো তিনজন মারা গেছে।’ কর্তৃপক্ষের মতে, নিশ্চিত মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২০৫-এ এসে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা কাদা এবং ধ্বংসাবশেষে আবদ্ধ শহরগুলোর মধ্যে খননকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। দোকান, সুপার মার্কেট, স্কুল, গাড়ি সব শেষ।’গত বৃহস্পতিবার এবং গতকাল শুক্রবারের শেষের দিকে অন্যান্য দক্ষিণাঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টির মধ্যেও বাসিন্দারা হ্যালোইন উদযাপন করেছে।

তবে কর্তৃপক্ষ লোকেদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং শুক্রবার সব ধরনের উদযাপন এড়াতে বলেছে। বন্যার ঝুঁকির জন্য এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ এর দশকের পর এটিই ইউরোপে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্যা। ১৯৭০ সালে রোমানিয়ায় বন্যায় ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আট ঘণ্টা ধরে প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় ভ্যালেন্সিয়ায়। স্পেনের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, সাধারণত এক বছরে স্পেনজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার সমপরিমাণ বর্ষণ ভ্যালেন্সিয়ায় হয়েছে মঙ্গলবার আট ঘণ্টায়।

বিজনেস আওয়ার/ ০২ নভেম্বর/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: