বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০১৯ সালের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শাসিয়ে দেয়। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদেরকে সুখবর দেওয়ার জন্য বলে। এর ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ চলতি বছরের ৯ মাসের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০) ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লভ্যাংশ বছর শেষে স্বাভাবিকভাবেই দিত। এখানে ২০১৯ সালের ব্যবসা থেকে কিছুই দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র ২০২০ সালের ব্যবসার জন্য লভ্যাংশকে দুইভাগে ভাগ করে একটি অংশ এখন দিয়ে দেওয়া হবে।
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের জন্য কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করে না। ঘোষণা করতে গেলে আইপিওধারীদের থেকে ফান্ড ২০২০ সালের শেষার্ধে পেলেও আগের বছরের জন্য লভ্যাংশ দিতে হতো। যেখানে মুনাফা অর্জনে শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহিত অর্থের কোন অবদান নেই।
আরও পড়ুন….
গোল্ডেন হার্ভেস্টের রাইটে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের বছর পার না হতেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড
পর্ষদের এই লভ্যাংশ ঘোষণা না করাকে কেন্দ্র করে শক্ত অবস্থান নেয় বিএসইসি। ২০২০ সালের শেষার্ধে শেয়ারবাজার থেকে ফান্ড নিলেও বিনিয়োগকারীদেরকে ২০১৯ সালের ব্যবসায় থেকে লভ্যাংশ না দেওয়ায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর কমিশন ডেকে শাসিয়ে দেয়। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য করনীয় পদক্ষেপ নিতে বলে।
কমিশনের এই পদক্ষেপের আলোকে রবিবার (০১ নভেম্বর) এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ৯ মাসের ব্যবসায় ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা বছর শেষেও স্বাভাবিকভাবেই করত। এখন সুবিধা মাত্র পুরো বছরের লভ্যাংশটাকে দুই ভাগে ভাগ করে একটা অংশ আগে দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া কোন সুবিধা নেই। যাতে করে ২০১৯ সালের ব্যবসায় ‘নো’ ডিভিডেন্ডকে কেন্দ্র করে যতো কিছুই করা হয়েছে, তার কোন সুফল আসেনি।
কোম্পানিটির চলতি বছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ০.৮৪ টাকা।
উল্লেখ্য, রবিবার (০১ নভেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৪৩.২০ টাকা। যা সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ৩.৯৪ শতাংশ কমে ৪১.৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/আরএ
8 thoughts on “বিএসইসির কঠোর অবস্থান, কি পেল বিনিয়োগকারীরা!”