ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-কন্যা হত্যা: দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
  • 60

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ব্যক্তি হলেন- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকার মৃত শামসুল হক বাঘার ছেলে আবদুল গফুর (৪৭)। এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জল্লাদ ছিলেন শাহজাহান ভূঁইয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর জেলার মো. আবু সায়েম।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যাশিশুকে হত্যা করে আবাদুল গফুর। পরে এ ঘটনায় রামগতি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালে আদালত আবদুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এর পর আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন। একপর্যায়ে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আবদুল গফুরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারসহ ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা। পরে মরদেহ নিহতের বড় ভাই মো. আবদুল ও মো. হানিফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্ত্রী-কন্যা হত্যা: দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ব্যক্তি হলেন- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকার মৃত শামসুল হক বাঘার ছেলে আবদুল গফুর (৪৭)। এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জল্লাদ ছিলেন শাহজাহান ভূঁইয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর জেলার মো. আবু সায়েম।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যাশিশুকে হত্যা করে আবাদুল গফুর। পরে এ ঘটনায় রামগতি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালে আদালত আবদুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এর পর আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন। একপর্যায়ে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আবদুল গফুরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারসহ ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা। পরে মরদেহ নিহতের বড় ভাই মো. আবদুল ও মো. হানিফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: