ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি হেফাজতের

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
  • 52

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনী ও দেশটির প্রেসিডেন্টের ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে সংগঠনটি। এরপর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি বেইলি রোড়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।এখানে মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।

এর আগে ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, রাসুলকে (সা.) দুনিয়ার সবকিছু থেকে ভালোবাসতে না পারলে তার ঈমান থাকবে না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর সরকার আজ পর্যন্ত ফ্রান্সে আমাদের নবীকে যে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করে নাই।

তারা আরও বলেন, যারা মুসলমানদের স্বার্থে নিজের ঈমানের পক্ষে কথা বলে না তারা আজকে ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। আজ মুসলামন ও ঈমানদের পক্ষে যদি সরকার ঐক্যমত পোষণ করে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে এ দেশের জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।

ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ বাধা দিয়েছে দাবি করে তারা বলেন, আজকে রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে তারা কাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে।

উল্লেখ্য, স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন।

এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি হেফাজতের

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনী ও দেশটির প্রেসিডেন্টের ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে সংগঠনটি। এরপর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি বেইলি রোড়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।এখানে মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।

এর আগে ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, রাসুলকে (সা.) দুনিয়ার সবকিছু থেকে ভালোবাসতে না পারলে তার ঈমান থাকবে না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর সরকার আজ পর্যন্ত ফ্রান্সে আমাদের নবীকে যে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করে নাই।

তারা আরও বলেন, যারা মুসলমানদের স্বার্থে নিজের ঈমানের পক্ষে কথা বলে না তারা আজকে ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। আজ মুসলামন ও ঈমানদের পক্ষে যদি সরকার ঐক্যমত পোষণ করে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে এ দেশের জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।

ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ বাধা দিয়েছে দাবি করে তারা বলেন, আজকে রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে তারা কাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে।

উল্লেখ্য, স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন।

এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: