বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নিয়মিত তারল্য গ্যারান্টির আওতায় সংকটে থাকা শেয়ারবাজারের তিন ব্যাংক আরো ২৬৫ কোটি টাকা ধার পেয়েছে। ব্যাংক তিনটি হলো : ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সংকটে থাকা ৭টি ব্যাংককে গত অক্টোবরের শুরু থেকে এপর্যন্ত মোট ধার দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
জানা যায়, ঋণ জালিয়াতি ও নানা অনিয়মের কারণে দুই বছর যাবৎ তীব্র তারল্য বা নগদ অর্থ সংকটে রয়েছে দেশের প্রায় ১২টি ব্যাংক। এরমধ্যে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল আটটি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআরআর ও এসএলআর রাখতে ব্যর্থ হয়। তবুও ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরবর্তীতে ব্যাংকগুলো আরও বেশি তারল্য সংকটে পড়লে চলতি হিসাব ঘাটতি রেখেও লেনদেনের সুযোগ দেয়া হয়।
তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া ছিল তা নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বন্ধ করে দেন। এতে ব্যাংকগুলোর সঠিক আর্থিক চিত্র বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গ্রাহকের টাকা দিতে না পারার মতো ঘটনাও ঘটে।
সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকখাতে দখলকৃত অনেক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পর্যন্ত এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা আটটি ব্যাংকসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গ্যারান্টির অধীনে দুর্বল ব্যাংকগুলো অর্থসহায়তা নিয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ১ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৯৮৫ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংক ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক ৪০০ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২৯৫ কোটি টাকা।
বিজনেস আওয়ার/ ২০ নভেম্বর / এ এইচ