ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন করে বিনিয়োগকারীদের ১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান

  • পোস্ট হয়েছে : ৩ ঘন্টা আগে
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগের দিন নামমাত্র উত্থান হলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আবার পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চার কর্মদিবসই পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের ১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (১৭ নভেম্বর) লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বাজার মূলধন হয় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।স্টক ব্রোকারেজ

এছাড়া সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক হয় ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক ১৫৮ পয়েন্ট কমেছে।

বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। তবে আধা ঘণ্টার মাথায় সূচক পতনে চলে যায়। এরপর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে সূচক আবার উত্থানে ফিরে আসে। এই উত্থান প্রবণতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুর ১২টা ৩ মিনিটের দিকে আবার পতনে চলে যায় সূচক। এরপর আর উত্থানে ফিরতে দেখা যায়নি। সূচকের পতনেই শেষ হয় লেনদেন। আজ সূচকের সাথে বাজার মূলধনও কমেছে। এতে এক দিনেই বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে স্থায়ী স্থিতিশীলতায় ফিরাতে নানান উদ্যোগ নিচ্ছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানান উদ্যোগের পরও বাজারের প্রতি আস্থা ফিরছে না বিনিয়োগকারীদের। শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই নয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও অনেকটা নিস্ক্রিয় রয়েছে। বাজারকে তার নিজস্ব রূপে ফেরাতে সব ধরণের বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরে আসতে হবে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নানান উদ্যোগ শুধু কাগজে কলমে থাকলেই হবে না, তার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭.৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ১০.৯৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৫.৫৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৩৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার বা ৭ শতাংশ।স্টক ব্রোকারেজ

ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৬টির বা ১৭.২৩ শতাংশের, কমেছে ২৬৩টির বা ৬৮.৬৬ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৫৪টির বা ১৪.০৯ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১৩২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৯টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে।

বিজনেস আওয়ার/ ২১ নভেম্বর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নতুন করে বিনিয়োগকারীদের ১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান

পোস্ট হয়েছে : ৩ ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগের দিন নামমাত্র উত্থান হলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আবার পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চার কর্মদিবসই পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের ১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (১৭ নভেম্বর) লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বাজার মূলধন হয় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।স্টক ব্রোকারেজ

এছাড়া সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক হয় ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক ১৫৮ পয়েন্ট কমেছে।

বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। তবে আধা ঘণ্টার মাথায় সূচক পতনে চলে যায়। এরপর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে সূচক আবার উত্থানে ফিরে আসে। এই উত্থান প্রবণতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুর ১২টা ৩ মিনিটের দিকে আবার পতনে চলে যায় সূচক। এরপর আর উত্থানে ফিরতে দেখা যায়নি। সূচকের পতনেই শেষ হয় লেনদেন। আজ সূচকের সাথে বাজার মূলধনও কমেছে। এতে এক দিনেই বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে স্থায়ী স্থিতিশীলতায় ফিরাতে নানান উদ্যোগ নিচ্ছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানান উদ্যোগের পরও বাজারের প্রতি আস্থা ফিরছে না বিনিয়োগকারীদের। শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই নয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও অনেকটা নিস্ক্রিয় রয়েছে। বাজারকে তার নিজস্ব রূপে ফেরাতে সব ধরণের বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরে আসতে হবে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নানান উদ্যোগ শুধু কাগজে কলমে থাকলেই হবে না, তার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭.৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ১০.৯৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৫.৫৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৩৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার বা ৭ শতাংশ।স্টক ব্রোকারেজ

ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৬টির বা ১৭.২৩ শতাংশের, কমেছে ২৬৩টির বা ৬৮.৬৬ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৫৪টির বা ১৪.০৯ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১৩২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৯টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে।

বিজনেস আওয়ার/ ২১ নভেম্বর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: