ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগন খুঁজছে বিনিয়োগের খাত, শেয়ারবাজারকে নিতে হবে সুযোগ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে এসময় জনগণের মাথাপিছু আয়ও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে জনগণের সঞ্চয় বেড়েছে। আর জনগণ এই সঞ্চয়কে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত খুঁজছে। বিনিয়োগের জন্য শেয়ারবাজারকে এই সুযোগ নিতে হবে।

সোমবার (০২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নিকুঞ্জ টাওয়ার পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। এসময় কমিশনার খোন্দকার কামালুজ্জামান, অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান ও মোঃ আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য তথ্য অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এটিকে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষনের জন্য ডিজাস্টার রিকোভারি সিস্টেম তৈরী করতে হবে। উন্নয়নের জন্য জনবল এবং অবকাঠামো উভয় ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে আগামীতে সকল কিছু অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এজন্য ডিএসই’র আইটি বিভাগকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে শেয়ারবাজারের প্রসার হয়নি। শেয়ারবাজারের থেকে অর্থবাজারের আকার অনেক বেশি। আমরা যদি সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন অবকাঠামো এবং শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করতে পারি, তবে শেয়ারবাজারে প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে এবং একই সাথে ব্যাংকিং খাতের উপর চাপ কমবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএসইসি’র কমিশনারগণ তাদের বক্ত বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন্দ্র করেই শেয়ারবাজারের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা সব সময়ই বেশি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য, শেয়ারবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। এই লক্ষ্যে বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সমন্বিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷

তারা বলেন, শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রথম ও প্রধান কাজ হবে সবার আগে সমস্যাগুলো বের করা৷ তারপর এর সমাধান করা৷ বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যত শেয়ারবাজারকে একটি আধুনিক ও যুগোপোযোগী শেয়াবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে৷

তারা আরও বলেন, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছে৷ যদি বিনিয়োগকারী নিশ্চিত হয় যে, তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ ও রিটার্ন আসবে, তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেট গতিশীল হবে৷ এখন ইকুইটি বেজড কার্যক্রমের বাইরে আমরা বন্ড নিয়ে কাজ করব৷ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ সর্বোপরি সব ক্ষেত্রেই সুশাসন নিশ্চিত করা হবে৷ চ্যালেঞ্জ অনেক সময় সুযোগ তৈরি করে দেয়৷ এ জন্য স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সমন্বিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই৷ রেগুলেটরের কাজ হচ্ছে মূলত ২ পক্ষের ভেতর সমন্বয় গড়ে তোলা৷ সমন্বয় সুনিশ্চিত করনের জন্য আইন কানুন আধুনিকায়ন করতে হবে এবং যারা প্রয়োগ করবেন তাদের আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে৷

তারা বলেন, শেয়ারবাজারে ভালো ভালো কোম্পানি আসুক তা সকলেরই কাম্য৷ বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ৷ সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি সমন্বিতভাবে কাজ করে তাহলে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে৷ এছাড়াও অটোমেশন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শেয়ারবাজারকে তুলে ধরা এবং সার্ভেইল্যান্স ব্যবস্থাকে আরও জোরদারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন৷ এসব ব্যবস্থায় বাজারের প্রতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে, বাজার হবে আরও বিনিয়োগ-বান্ধব৷

পরে বৈঠকে এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ডিএসই’র মহাব্যবস্থাপক মোঃ ছামিউল ইসলাম ডিএসই টাওয়ারের উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ডিএসই’র এই ভবনে ১৩টি ফ্লোরে ৬৫৪,৯৫৪ স্কয়ার ফিট অফিস স্পেস এবং ৩টি বেজমেন্ট ৪০০টি গাড়ী পার্কিং সুবিধা, কেন্দ্রিয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনটিতে রয়েছে পরিপূর্ণ জেনারেটর ব্যবস্থা৷ এই ভবনটিতে ২০০টির বেশি ব্রোকারেজ হাউজের জন্য অফিস স্পেস সহ ব্যাংক, বীমা এবং সিসিবিএল এর অফিসের জন্য জায়গা বরাদ্দ রয়েছে৷ এছাড়াও ভবনটিতে ৫৮০০ বর্গফুটের ৬৫০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মাল্টিপারপাস হলরুম রয়েছে৷ একটি হেলিপ্যাড সহ ভবনটিতে রয়েছে ১৩টি লিফট, ২টি পানির পাম্প৷

এর আগে ডিএসইর চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কমিশনারবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই শেয়াবাজারের প্রসারতা বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শেয়ারবাজারের পরিধি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মতিঝিল অফিসে সকল সুযোগ সুবিধার সংকুলান না হওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঢাকায় এক খন্ড প্লট বরাদ্দের আবেদন করেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদুরপ্রসারী উন্নয়নকল্পে এবং আন্তর্জাতিক মানের স্টক এক্সচেঞ্জ হিসাবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ১৯৯৭ সালে ঢাকার নিকুঞ্জে নাম মাত্র মূল্যে ৪ বিঘা জমি বরাদ্দ দেন৷ এই বরাদ্দকৃত জায়গায় ডিএসই’র নিজস্ব অর্থায়নে অত্যাধুনিক সুযোগ সম্বলিত ডিএসই টাওয়ার নির্মিত হয়েছে৷

তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী নতুন প্রযুক্তি স্থাপনে সম্ভাবনার নতুন যুগে প্রবেশ করার জন্য ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয় ডিএসই৷ অটোমেশন চালুর জন্যও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৎকালীন বিএসআরএস ৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা সহজ শর্তে ঋণ বরাদ্দ দেয়৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় শেয়ারবাজারের আধুনিকায়নে ১৯৯৮ সালে স্বয়ংক্রিয় লেনদেন পদ্ধতি চালু করার ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের জন্য দেশের প্রধান শেয়াবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজ বিশ্বের অন্যান্য স্টক এক্সচেজ্ঞের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করে৷

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, মাননীয় চেয়ারম্যান ও কমিশনারবৃন্দের দক্ষ নেতৃত্বে আগামীদিনে শেয়ারবাজারের এই বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকবে।

পরে কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনারবৃন্দ ডিএসই টাওয়ারের বঙ্গবন্ধু কর্ণার, আইসিটি, সিসিবিএল, ব্রোকারেজ হাউস, ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমি, লাইব্রেরী, মালি্টপারপাস হল ও লাউন্স পরিদর্শন করেন৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারের মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মুনতাকিম আশরাফ, হাবিব উল্লাহ বাহার, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ, রকিবুর রহমান, মোঃ শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক৷

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জনগন খুঁজছে বিনিয়োগের খাত, শেয়ারবাজারকে নিতে হবে সুযোগ

পোস্ট হয়েছে : ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে এসময় জনগণের মাথাপিছু আয়ও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে জনগণের সঞ্চয় বেড়েছে। আর জনগণ এই সঞ্চয়কে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত খুঁজছে। বিনিয়োগের জন্য শেয়ারবাজারকে এই সুযোগ নিতে হবে।

সোমবার (০২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নিকুঞ্জ টাওয়ার পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। এসময় কমিশনার খোন্দকার কামালুজ্জামান, অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান ও মোঃ আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য তথ্য অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এটিকে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষনের জন্য ডিজাস্টার রিকোভারি সিস্টেম তৈরী করতে হবে। উন্নয়নের জন্য জনবল এবং অবকাঠামো উভয় ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে আগামীতে সকল কিছু অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এজন্য ডিএসই’র আইটি বিভাগকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে শেয়ারবাজারের প্রসার হয়নি। শেয়ারবাজারের থেকে অর্থবাজারের আকার অনেক বেশি। আমরা যদি সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন অবকাঠামো এবং শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করতে পারি, তবে শেয়ারবাজারে প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে এবং একই সাথে ব্যাংকিং খাতের উপর চাপ কমবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএসইসি’র কমিশনারগণ তাদের বক্ত বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন্দ্র করেই শেয়ারবাজারের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা সব সময়ই বেশি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য, শেয়ারবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। এই লক্ষ্যে বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সমন্বিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷

তারা বলেন, শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রথম ও প্রধান কাজ হবে সবার আগে সমস্যাগুলো বের করা৷ তারপর এর সমাধান করা৷ বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যত শেয়ারবাজারকে একটি আধুনিক ও যুগোপোযোগী শেয়াবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে৷

তারা আরও বলেন, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছে৷ যদি বিনিয়োগকারী নিশ্চিত হয় যে, তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ ও রিটার্ন আসবে, তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেট গতিশীল হবে৷ এখন ইকুইটি বেজড কার্যক্রমের বাইরে আমরা বন্ড নিয়ে কাজ করব৷ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ সর্বোপরি সব ক্ষেত্রেই সুশাসন নিশ্চিত করা হবে৷ চ্যালেঞ্জ অনেক সময় সুযোগ তৈরি করে দেয়৷ এ জন্য স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সমন্বিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই৷ রেগুলেটরের কাজ হচ্ছে মূলত ২ পক্ষের ভেতর সমন্বয় গড়ে তোলা৷ সমন্বয় সুনিশ্চিত করনের জন্য আইন কানুন আধুনিকায়ন করতে হবে এবং যারা প্রয়োগ করবেন তাদের আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে৷

তারা বলেন, শেয়ারবাজারে ভালো ভালো কোম্পানি আসুক তা সকলেরই কাম্য৷ বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ৷ সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি সমন্বিতভাবে কাজ করে তাহলে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে৷ এছাড়াও অটোমেশন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শেয়ারবাজারকে তুলে ধরা এবং সার্ভেইল্যান্স ব্যবস্থাকে আরও জোরদারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন৷ এসব ব্যবস্থায় বাজারের প্রতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে, বাজার হবে আরও বিনিয়োগ-বান্ধব৷

পরে বৈঠকে এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ডিএসই’র মহাব্যবস্থাপক মোঃ ছামিউল ইসলাম ডিএসই টাওয়ারের উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ডিএসই’র এই ভবনে ১৩টি ফ্লোরে ৬৫৪,৯৫৪ স্কয়ার ফিট অফিস স্পেস এবং ৩টি বেজমেন্ট ৪০০টি গাড়ী পার্কিং সুবিধা, কেন্দ্রিয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনটিতে রয়েছে পরিপূর্ণ জেনারেটর ব্যবস্থা৷ এই ভবনটিতে ২০০টির বেশি ব্রোকারেজ হাউজের জন্য অফিস স্পেস সহ ব্যাংক, বীমা এবং সিসিবিএল এর অফিসের জন্য জায়গা বরাদ্দ রয়েছে৷ এছাড়াও ভবনটিতে ৫৮০০ বর্গফুটের ৬৫০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মাল্টিপারপাস হলরুম রয়েছে৷ একটি হেলিপ্যাড সহ ভবনটিতে রয়েছে ১৩টি লিফট, ২টি পানির পাম্প৷

এর আগে ডিএসইর চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কমিশনারবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই শেয়াবাজারের প্রসারতা বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শেয়ারবাজারের পরিধি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মতিঝিল অফিসে সকল সুযোগ সুবিধার সংকুলান না হওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঢাকায় এক খন্ড প্লট বরাদ্দের আবেদন করেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদুরপ্রসারী উন্নয়নকল্পে এবং আন্তর্জাতিক মানের স্টক এক্সচেঞ্জ হিসাবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ১৯৯৭ সালে ঢাকার নিকুঞ্জে নাম মাত্র মূল্যে ৪ বিঘা জমি বরাদ্দ দেন৷ এই বরাদ্দকৃত জায়গায় ডিএসই’র নিজস্ব অর্থায়নে অত্যাধুনিক সুযোগ সম্বলিত ডিএসই টাওয়ার নির্মিত হয়েছে৷

তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী নতুন প্রযুক্তি স্থাপনে সম্ভাবনার নতুন যুগে প্রবেশ করার জন্য ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয় ডিএসই৷ অটোমেশন চালুর জন্যও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৎকালীন বিএসআরএস ৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা সহজ শর্তে ঋণ বরাদ্দ দেয়৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় শেয়ারবাজারের আধুনিকায়নে ১৯৯৮ সালে স্বয়ংক্রিয় লেনদেন পদ্ধতি চালু করার ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের জন্য দেশের প্রধান শেয়াবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজ বিশ্বের অন্যান্য স্টক এক্সচেজ্ঞের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করে৷

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, মাননীয় চেয়ারম্যান ও কমিশনারবৃন্দের দক্ষ নেতৃত্বে আগামীদিনে শেয়ারবাজারের এই বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকবে।

পরে কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনারবৃন্দ ডিএসই টাওয়ারের বঙ্গবন্ধু কর্ণার, আইসিটি, সিসিবিএল, ব্রোকারেজ হাউস, ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমি, লাইব্রেরী, মালি্টপারপাস হল ও লাউন্স পরিদর্শন করেন৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারের মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মুনতাকিম আশরাফ, হাবিব উল্লাহ বাহার, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ, রকিবুর রহমান, মোঃ শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক৷

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: