বিনোদন ডেস্ক: ২০১৬ সালে ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে নজর কাড়েন সেমন্তী সৌমি। এখন নাটকের নিয়মিত মুখ তিনি। করছেন মিউজিক ভিডিও ও মডেলিং। সেসব নিয়ে কথা বলেছেন কালের কন্ঠের সঙ্গে।
সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে মনে হচ্ছে?
বলতে পারেন। এখন [গতকাল সন্ধ্যায়] যাচ্ছি মিটিংয়ে, ওটিটির নতুন প্রজেক্টের। কাল [আজ] সকাল থেকে নতুন নাটক ‘স্বার্থপর’-এর শুটিং করব টঙ্গীতে। তন্ময় খানের এই নাটকে আমার সঙ্গে অভিনয় করবে আবু হুরাইরা তানভীর।
এটা শেষ করে আবার অন্য নাটকের সেটে যাব। আছে বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংও। তবে ডিসেম্বরের পর থেকে নাটকের কাজ একদম কমিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আমার।
নাটক কমাবেন কেন?
অনেক নাটক করে ফেলেছি। মনে হচ্ছে, এবার একটু বিরতি নেওয়া উচিত। ২০২৫ সালটা আমি ওটিটিতে ফোকাস করতে চাই। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে বসেছি। আশা করছি, চূড়ান্ত হয়ে যাবে শিগগিরই। ওটিটির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তো আর নাটক করার সময়ই পাব না। শেখ সাদীর কণ্ঠে ‘মায়া’ প্রকাশ পেয়েছে ২২ নভেম্বর। গানটির ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। সাড়া পাচ্ছেন কেমন?
আমার প্রতিটি মিউজিক ভিডিও কিন্তু হিট। ‘ডুবে ডুবে’, ‘গোলাপি’, ‘ফাগুন’ গানগুলো যেমন মানুষের মন জয় করেছে তেমনি আমার উপস্থিতিও প্রশংসিত হয়েছে। এ গানটিও সেই ধারাবাহিকতা রাখবে বলেই বিশ্বাস। ট্রেন্ডি গান, এই সময়ের কথা চিন্তা করেই তৈরি করেছেন শেখ সাদী। তিনি আমার প্রিয় গায়কদের একজন। সেদিক থেকে গানটির প্রতি আমারও ভালো লাগা আছে।
আপনার অভিনীত নাটকগুলোর নামও বেশ ‘ট্রেন্ডি’। পাঁচ দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ‘বড়লোকের অহংকারী মেয়ে’। তার আগে মুক্তি পেয়েছে ‘গরিবের এসি’, ‘গার্লফ্রেন্ড একটা প্যারা’। ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের নাম আপনার পছন্দ?
আসলে সময়টাইতো এখন এমন। প্রযোজক তার লগ্নি করা অর্থ ফেরত চাইবেনই। যখন যে ধরনের গল্প-নাম চলে তারা সে ধরনের গল্প ও নাম বাছাই করেন। এখানে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের করার কিছু থাকে না। তবে ভিউয়ের ক্ষেত্রে দেখেন, প্রতিটি নাটকই কিন্তু মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পাচ্ছে, মানে দর্শক দেখছেন।
শাকিব খানের সঙ্গে বারবার আপনাকে দেখা যাচ্ছে। তার সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কোনো খবর আছে নাকি!
[হা হা হা] না। আমি শাকিব ভাইয়ের কম্পানি রিম্যার্ক-হারল্যানের শুভেচ্ছাদূত। তাই বিভিন্ন মিটিংয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েই যায়। চলচ্চিত্রের বিষয়ে ভাইও আমাকে কিছু বলেন না, আমিও বলি না। তবে ব্যাটে-বলে মিলে গেলে হতে কতক্ষণ! অপেক্ষা করেন।
ফেসবুকে প্রায়ই বিদেশে ঘোরাঘুরির ছবি পোস্ট করেন। সময় পান কী করে?
আরে ভাই, একবার গিয়ে ছবি তুলি আর বারবার সেটা পোস্ট করি। এত বিদেশে ঘোরার সময় কই! তিন মাস আগে সর্বশেষ মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। আর দুর্গাপূজার সময় মা-বাবার সঙ্গে কলকাতা গিয়েছিলাম পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। সেই সব ছবিই এখন পোস্ট করি।
আপনি কলকাতার মেয়ে। বাংলাদেশে ক্যারিয়ার গড়লেন কেন?
আমার মা চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন। ফলে মায়ের জন্য আমরাও এখানে চলে এসেছি। শুরুতে টুকটাক মডেলিং করেছি, ফটোশুট করেছি। তবে ভাবিনি কখনো এতটা ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। এখন তো এখানে আমার ক্যারিয়ার স্টাবলিশড বলতে পারেন। ফলে কলকাতার কথা ভাবছি না একদম।
বিজনেস আওয়ার/ ২৪ নভেম্বর/ রানা