ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ১২ দফা প্রস্তাবনা বিসিএমআইএ’র

  • পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুরক্ষায় তালিকাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করাসহ ১২ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় আতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হল তৃতীয় তলায় বিসিএমআইএ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএমআইেএ’র কো-অর্ডিনেটর এসএম ইকবাল হোসেন। এতে আলোচক ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সাংবাদিক, গবেষক, অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফজলুল বারী এবং অর্থনৈতিক সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন দিদারুল আলম ভূঁইয়া।

বিসিএমআইএ যে ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে সেগুলো হচ্ছে- শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরী। স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা, শেয়ারবাজারে দেখা যায় শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানোর জন্য কারসাজি করে আর্থিক প্রতিবেদন দেখায়, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলো তার মধ্যে অন্যতম। যে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে যে সকল কোম্পানির পরিচালকগণকে ইস্যু মূল্যে বাধ্যতামূলক শেয়ার ক্রয় করতে হবে। আর প্রত্যেক কোম্পানির মালিকানা শেয়ার ধারণ ৫১ শতাংশ থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীকে লোন সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীকে তাহার মূলধনের সমপরিমাণ লোন প্রদান করে ৫ বছর বিনা সুদে রাখতে হবে। এছাড়াও, প্রতিমাসে ২টি করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে।স্টক ব্রোকারেজ

এছাড়াও আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়াতে হবে। মার্কেট মেকার লাইসেন্স প্রদানকরণ করা যেতে পারে। প্লেসমেন্ট শেয়ার পরিচালকদের ৫ বছর লক থাকতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৫ বছর নূন্যতম ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে হবে। নগদ লভ্যাংশ বিওতে পাঠানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে প্রতিবছর মার্কেটে মূলধন বাড়তে পারে ২০০০/২৫০০ হাজার কোটি টাকা। বিগত ১৫ বছর যে সফল কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে সে সকল কোম্পানির পরিচালকদের ব্যক্তিগত সম্পদ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্তির আগে ও পরের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রাখার দাবি জানানো হয়।

শেয়ারবাজার থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের জিএমজি এয়ার লাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ারবাজারে ছেড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন বেক্সিমকো গ্রুপ। বিগত ১৪ বছর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে উত্তোলনকৃত অর্থ এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। উল্লেখিত বিষয়ে বর্তমান কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রন্থ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ নভেম্বর/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ১২ দফা প্রস্তাবনা বিসিএমআইএ’র

পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুরক্ষায় তালিকাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করাসহ ১২ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় আতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হল তৃতীয় তলায় বিসিএমআইএ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএমআইেএ’র কো-অর্ডিনেটর এসএম ইকবাল হোসেন। এতে আলোচক ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সাংবাদিক, গবেষক, অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফজলুল বারী এবং অর্থনৈতিক সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন দিদারুল আলম ভূঁইয়া।

বিসিএমআইএ যে ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে সেগুলো হচ্ছে- শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরী। স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা, শেয়ারবাজারে দেখা যায় শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানোর জন্য কারসাজি করে আর্থিক প্রতিবেদন দেখায়, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলো তার মধ্যে অন্যতম। যে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে যে সকল কোম্পানির পরিচালকগণকে ইস্যু মূল্যে বাধ্যতামূলক শেয়ার ক্রয় করতে হবে। আর প্রত্যেক কোম্পানির মালিকানা শেয়ার ধারণ ৫১ শতাংশ থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীকে লোন সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীকে তাহার মূলধনের সমপরিমাণ লোন প্রদান করে ৫ বছর বিনা সুদে রাখতে হবে। এছাড়াও, প্রতিমাসে ২টি করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে।স্টক ব্রোকারেজ

এছাড়াও আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়াতে হবে। মার্কেট মেকার লাইসেন্স প্রদানকরণ করা যেতে পারে। প্লেসমেন্ট শেয়ার পরিচালকদের ৫ বছর লক থাকতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৫ বছর নূন্যতম ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে হবে। নগদ লভ্যাংশ বিওতে পাঠানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে প্রতিবছর মার্কেটে মূলধন বাড়তে পারে ২০০০/২৫০০ হাজার কোটি টাকা। বিগত ১৫ বছর যে সফল কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে সে সকল কোম্পানির পরিচালকদের ব্যক্তিগত সম্পদ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্তির আগে ও পরের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রাখার দাবি জানানো হয়।

শেয়ারবাজার থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের জিএমজি এয়ার লাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ারবাজারে ছেড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন বেক্সিমকো গ্রুপ। বিগত ১৪ বছর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে উত্তোলনকৃত অর্থ এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। উল্লেখিত বিষয়ে বর্তমান কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রন্থ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ নভেম্বর/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: