ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটানা হাঁচি হলে দ্রুত যা করবেন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 9

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শীত এলে সর্দি ও অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। আর এ কারণে হাঁচি হওয়া স্বাভাবিক। তবে একনাগাড়ে হাঁচি হওয়া আবার কষ্টদায়ক। আসলে অবাঞ্ছিত কোনো বস্তু যেমন- পরাগ, ধূলাবালি, ধোঁয়া, গুঁড়া, তীব্র সুগন্ধযুক্ত খাবার ইত্যাদি হাঁচির কারণ হতে পারে। অনেকেরই নাক চুলকানোর সঙ্গে সঙ্গে একটানা হাঁচি শুরু হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রতিক্রিয়া। নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি বিরক্ত হলে এটি ঘটে। সাধারণত অ্যালার্জি বা সাধারণ সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতার কারণে বারবার হাঁচি হতে পারে। হাঁচি কখনো আটকে রাখা উচিত নয়। এতে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। তবে চাইলে একনাগারে হওয়া হাঁচি থামাতে কয়েকটি উপায় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

অতিরিক্ত আলোয় হাঁচির সমস্যা বেড়ে যায়। একে ফোটিক স্নিজিং বলে। এই সমস্যা সাধারণত বংশগত হয়। তাই হাঁচি হলে আলোর দিকে তাকাবেন না।

হাঁচি থামাতে দারুণ কাজ করে মধু। একনাগাড়ে হাঁচি হলে সামান্য মধু খেয়ে নিন। দেখবেন থেমে যাবে হাঁচি।

ঠিক কী কারণে আপনার হাঁচি হচ্ছে তা খুঁজে বের করুন ও তা এড়িয়ে চলুন। যাদের গন্ধে, ধুলায় বা পরাগে অ্যালার্জি তারা এসব থেকে দূরে থাকুন।

প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ সিজনাল অ্যালার্জিতে ভোগেন। যারা মৌসুমী অ্যালার্জিতে ভোগেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করুন। অ্যান্টিহিস্টামাইন জাতীয় অ্যালার্জির ওষুধ হাঁচি থামাতে পারে।

একনাগাড়ে হাঁচি হলে ন্যাসাল স্প্রে বা স্যালাইন অনুনাসিক স্প্রে দু’ফোটা নিতে পারেন নাকে। একে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে ও দ্রুত হাঁচি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

নাকে সুড়সুড়ি লাগেলে বা হাঁচির প্রবণতা লক্ষ্য করলে একটি টিস্যু বা রুমালে নাকের সামনে ধরে জোরে বাতাস বের করে দিন। এতে হাঁচির সমস্যা কমে যাবে।

বারবার হাঁচি হলে নাকে সামান্য চিমটি কাটুন। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, নাকে হালকাভাবে চিমটি কাটার মাধ্যমেও আপনি দ্রুত হাঁচি বন্ধ করতে পারেন।

সূত্র: ইনসাইডার

বিজনেস আওয়ার/ ০২ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

একটানা হাঁচি হলে দ্রুত যা করবেন

পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শীত এলে সর্দি ও অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। আর এ কারণে হাঁচি হওয়া স্বাভাবিক। তবে একনাগাড়ে হাঁচি হওয়া আবার কষ্টদায়ক। আসলে অবাঞ্ছিত কোনো বস্তু যেমন- পরাগ, ধূলাবালি, ধোঁয়া, গুঁড়া, তীব্র সুগন্ধযুক্ত খাবার ইত্যাদি হাঁচির কারণ হতে পারে। অনেকেরই নাক চুলকানোর সঙ্গে সঙ্গে একটানা হাঁচি শুরু হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রতিক্রিয়া। নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি বিরক্ত হলে এটি ঘটে। সাধারণত অ্যালার্জি বা সাধারণ সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতার কারণে বারবার হাঁচি হতে পারে। হাঁচি কখনো আটকে রাখা উচিত নয়। এতে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। তবে চাইলে একনাগারে হওয়া হাঁচি থামাতে কয়েকটি উপায় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

অতিরিক্ত আলোয় হাঁচির সমস্যা বেড়ে যায়। একে ফোটিক স্নিজিং বলে। এই সমস্যা সাধারণত বংশগত হয়। তাই হাঁচি হলে আলোর দিকে তাকাবেন না।

হাঁচি থামাতে দারুণ কাজ করে মধু। একনাগাড়ে হাঁচি হলে সামান্য মধু খেয়ে নিন। দেখবেন থেমে যাবে হাঁচি।

ঠিক কী কারণে আপনার হাঁচি হচ্ছে তা খুঁজে বের করুন ও তা এড়িয়ে চলুন। যাদের গন্ধে, ধুলায় বা পরাগে অ্যালার্জি তারা এসব থেকে দূরে থাকুন।

প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ সিজনাল অ্যালার্জিতে ভোগেন। যারা মৌসুমী অ্যালার্জিতে ভোগেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করুন। অ্যান্টিহিস্টামাইন জাতীয় অ্যালার্জির ওষুধ হাঁচি থামাতে পারে।

একনাগাড়ে হাঁচি হলে ন্যাসাল স্প্রে বা স্যালাইন অনুনাসিক স্প্রে দু’ফোটা নিতে পারেন নাকে। একে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে ও দ্রুত হাঁচি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

নাকে সুড়সুড়ি লাগেলে বা হাঁচির প্রবণতা লক্ষ্য করলে একটি টিস্যু বা রুমালে নাকের সামনে ধরে জোরে বাতাস বের করে দিন। এতে হাঁচির সমস্যা কমে যাবে।

বারবার হাঁচি হলে নাকে সামান্য চিমটি কাটুন। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, নাকে হালকাভাবে চিমটি কাটার মাধ্যমেও আপনি দ্রুত হাঁচি বন্ধ করতে পারেন।

সূত্র: ইনসাইডার

বিজনেস আওয়ার/ ০২ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: