ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতায় এশিয়ার পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতন

  • পোস্ট হয়েছে : ৫৬ মিনিট আগে
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের আকস্মিক সামরিক আইন জারি এবং কয়েক ঘণ্টা পর আবার প্রত্যাহার কারার ফলে এশিয়ার বেশির ভাগ প্রধান পুঁজিবাজার ব্যাপক পতনের সম্মুখীন হয়েছে। আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এশিয়ার দেশগুলোর পুঁজিবজার বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিবেদনটি তৈরি করা পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজরের প্রধান সূচক কোস্পি ৩৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং কোসডাক ১৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছে। দেশটির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বৃহত্তম সংস্থা স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের শেয়ারদর কমেছে ৩ শতাংশ।

এদিকে দেশটিতে মুদ্রা বিনিময় হার ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রি চ্যাং-ইয়ং জরুরি বৈঠক করেছেন। মুদ্রার পতন রোধে বিদেশি মুদ্রা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে প্রয়োজনে সীমাহীন তারল্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির রাজনৈতিক অশান্তি পুরো অঞ্চল জুড়ে বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। নেতিবাচকতার প্রভাব এড়াতে পারেনি এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের পুঁজিবাজারও। দেশটির প্রধান সূচক নিক্কি ২২৫ কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে টপিক্স।

এদিকে এশিয়ার অন্যতম প্রধান পুঁজিবাজার হংকংয়ের প্রধান সূচক হ্যাং সেং শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে এবং চীনের মূলভূখন্ডে সিএসআই ৩০০ সূচক শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখাগেছে। দেশটির হো চিন মিন স্টকের প্রধান সূচক ভিএন কমেছে ৯ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

তবে ব্যাতিক্রম চিত্র দেখা গেছে, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের পুঁজিবাজারে। দেশটির প্রধান সূচক বিএসই সেনসেক্স বেড়েছে ১১১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া নিফটি বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেশটিতে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। এদিন ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার চার দশকেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে এটিই প্রথম সামরিক আইন ঘোষণা। যা দেশটির আধুনিক গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। ফলে এশিয়ার অর্থনীতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ ডিসেম্বর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কোরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতায় এশিয়ার পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতন

পোস্ট হয়েছে : ৫৬ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের আকস্মিক সামরিক আইন জারি এবং কয়েক ঘণ্টা পর আবার প্রত্যাহার কারার ফলে এশিয়ার বেশির ভাগ প্রধান পুঁজিবাজার ব্যাপক পতনের সম্মুখীন হয়েছে। আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এশিয়ার দেশগুলোর পুঁজিবজার বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিবেদনটি তৈরি করা পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজরের প্রধান সূচক কোস্পি ৩৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং কোসডাক ১৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছে। দেশটির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বৃহত্তম সংস্থা স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের শেয়ারদর কমেছে ৩ শতাংশ।

এদিকে দেশটিতে মুদ্রা বিনিময় হার ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রি চ্যাং-ইয়ং জরুরি বৈঠক করেছেন। মুদ্রার পতন রোধে বিদেশি মুদ্রা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে প্রয়োজনে সীমাহীন তারল্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির রাজনৈতিক অশান্তি পুরো অঞ্চল জুড়ে বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। নেতিবাচকতার প্রভাব এড়াতে পারেনি এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের পুঁজিবাজারও। দেশটির প্রধান সূচক নিক্কি ২২৫ কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে টপিক্স।

এদিকে এশিয়ার অন্যতম প্রধান পুঁজিবাজার হংকংয়ের প্রধান সূচক হ্যাং সেং শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে এবং চীনের মূলভূখন্ডে সিএসআই ৩০০ সূচক শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখাগেছে। দেশটির হো চিন মিন স্টকের প্রধান সূচক ভিএন কমেছে ৯ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

তবে ব্যাতিক্রম চিত্র দেখা গেছে, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের পুঁজিবাজারে। দেশটির প্রধান সূচক বিএসই সেনসেক্স বেড়েছে ১১১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া নিফটি বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেশটিতে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। এদিন ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার চার দশকেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে এটিই প্রথম সামরিক আইন ঘোষণা। যা দেশটির আধুনিক গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সবচেয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। ফলে এশিয়ার অর্থনীতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ ডিসেম্বর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: