ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু

  • পোস্ট হয়েছে : এক ঘন্টা আগে
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর-মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে। বন্দরটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে তথা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, বন্দরটি নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

এসময় উপদেষ্টা ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কেবলমাত্র আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয় কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অবস্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুটি বিবেচনা করতে হবে।

এছাড়াও এখানে একটি আন্তর্জাতিকমানের ডক-ইয়ার্ড নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার দেশের বন্দরগুলোর কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান। তিনি এ বিষয়ে জাইকার কারিগরি সহায়তাও চান।

জাহাজভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত মান যাচাইয়ের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ কমিটি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারকে সুপারিশ সহকারে প্রতিবেদন জমা দেবে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোর উন্নয়নে জাপান সরকারের পেশাগত ও কারিগরি সহযোগিতা কামনা করেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুরাষ্ট্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব-সম্পদ ও অবকাঠামোসহ অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। জাপানের স্বেচ্ছাসেবীরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাস ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ ডিসেম্বর / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু

পোস্ট হয়েছে : এক ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর-মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে। বন্দরটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে তথা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, বন্দরটি নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

এসময় উপদেষ্টা ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কেবলমাত্র আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয় কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অবস্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুটি বিবেচনা করতে হবে।

এছাড়াও এখানে একটি আন্তর্জাতিকমানের ডক-ইয়ার্ড নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার দেশের বন্দরগুলোর কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান। তিনি এ বিষয়ে জাইকার কারিগরি সহায়তাও চান।

জাহাজভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত মান যাচাইয়ের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ কমিটি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারকে সুপারিশ সহকারে প্রতিবেদন জমা দেবে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোর উন্নয়নে জাপান সরকারের পেশাগত ও কারিগরি সহযোগিতা কামনা করেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুরাষ্ট্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব-সম্পদ ও অবকাঠামোসহ অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। জাপানের স্বেচ্ছাসেবীরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাস ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ ডিসেম্বর / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: