ঢাকা , শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস, তাপমাত্রা ১৩.৬

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 59

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক পথে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে। ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকাল থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।

অটোরিকশার চালক মো. আসাদুল বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশিদূর দেখা যায় না। দিন যতোই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।

কুড়িগ্রাম সদরের ধরলার পাড় এলাকার শিক্ষক মো. আব্দুল হাই জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই ক্ষেতমজুররা ধান কাটছে।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তার ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই খেটে-খাওয়া দিনমজুর। তাদের অনেকেরই শীত বস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষ।

আবহাওয়া কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলায় ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৫ ডিসেম্বর / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কুড়িগ্রামে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস, তাপমাত্রা ১৩.৬

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক পথে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে। ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকাল থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।

অটোরিকশার চালক মো. আসাদুল বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশিদূর দেখা যায় না। দিন যতোই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।

কুড়িগ্রাম সদরের ধরলার পাড় এলাকার শিক্ষক মো. আব্দুল হাই জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই ক্ষেতমজুররা ধান কাটছে।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তার ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই খেটে-খাওয়া দিনমজুর। তাদের অনেকেরই শীত বস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষ।

আবহাওয়া কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলায় ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৫ ডিসেম্বর / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: