ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনাস্থা ভোটে ফ্রান্সের সরকার পতন

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 47

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ১৯৫৮ সালের পর সবচেয়ে কম দিন প্রধানমন্ত্রী থাকলেন মিশেল বার্নিয়ার। বুধবার ফরাসি পার্লামেন্টে শক্তি পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল মিশেল বার্নিয়ারকে। আস্থাভোটে সরকার ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। ৫৭৭ জন এমপি-র মধ্যে ৩৩১ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে ভেঙে পড়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মিশেল বার্নিয়ারকে।

মিশেল ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ-পন্থি রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তা ছিল মাক্রোঁ-পন্থি সরকার। বুধবারের আস্থাভোটের পর বামপন্থি দলগুলি মাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, এই ভোট থেকে পরিষ্কার মাক্রোঁর প্রতিও পার্লামেন্টের সমর্থন নেই।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন মাক্রোঁ। ১৯৫৮ সালে পঞ্চম রিপাবলিক তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম এত কম সময় কোনো প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলেন।

ফরাসি পার্লামেন্টে এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোনো ব্লকের হাতেই সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট শক্তি নেই। যার ফলে পার্লামেন্ট হাং হয়ে গেছে। এদিকে গরমের আগে আবার নির্বাচনও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে যে-ই ক্ষমতায় আসবে তারই অবস্থা মিশেলের মতো হবে। আস্থাভোট হলেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। অর্থাৎ, সকলকেই সংখ্যালঘু সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে দ্রুত এই সমস্যার মীমাংসা হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। আর এই সমস্যার সমাধান না হলে নতুন প্রধানমন্ত্রী পাওয়া মুশকিল।

মাক্রোঁ অবশ্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম দ্রুত বলতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ভাষণ দেওয়ার কথা। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফরাসি সময় রাত ৮টায় টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট। বুধবারই তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। তবে মাক্রোঁ পরবর্তী কর্মসূচি কী ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি প্রাসাদ।

বামপন্থিরা মাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করলেও অতি দক্ষিণপন্থি নেত্রী লে পেন এখনই মাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করছেন না। তার বক্তব্য, বুধবারের ভোটকে তারা জয় হিসেবে দেখছেন না। আর কোনো উপায় ছিল না বলেই বুধবার আস্থাভোটের সামনে সরকারকে দাঁড় করাতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, এই সমস্যা থেকে বার হওয়ার এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে, নতুন করে ভোটের ব্যবস্থা করা। লে পেন মনে করেন, মাক্রোঁও আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

বিজনেস আওয়ার/ ০৫ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অনাস্থা ভোটে ফ্রান্সের সরকার পতন

পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ১৯৫৮ সালের পর সবচেয়ে কম দিন প্রধানমন্ত্রী থাকলেন মিশেল বার্নিয়ার। বুধবার ফরাসি পার্লামেন্টে শক্তি পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল মিশেল বার্নিয়ারকে। আস্থাভোটে সরকার ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। ৫৭৭ জন এমপি-র মধ্যে ৩৩১ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে ভেঙে পড়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মিশেল বার্নিয়ারকে।

মিশেল ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ-পন্থি রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তা ছিল মাক্রোঁ-পন্থি সরকার। বুধবারের আস্থাভোটের পর বামপন্থি দলগুলি মাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, এই ভোট থেকে পরিষ্কার মাক্রোঁর প্রতিও পার্লামেন্টের সমর্থন নেই।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন মাক্রোঁ। ১৯৫৮ সালে পঞ্চম রিপাবলিক তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম এত কম সময় কোনো প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলেন।

ফরাসি পার্লামেন্টে এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোনো ব্লকের হাতেই সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট শক্তি নেই। যার ফলে পার্লামেন্ট হাং হয়ে গেছে। এদিকে গরমের আগে আবার নির্বাচনও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে যে-ই ক্ষমতায় আসবে তারই অবস্থা মিশেলের মতো হবে। আস্থাভোট হলেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। অর্থাৎ, সকলকেই সংখ্যালঘু সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে দ্রুত এই সমস্যার মীমাংসা হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। আর এই সমস্যার সমাধান না হলে নতুন প্রধানমন্ত্রী পাওয়া মুশকিল।

মাক্রোঁ অবশ্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম দ্রুত বলতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ভাষণ দেওয়ার কথা। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফরাসি সময় রাত ৮টায় টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট। বুধবারই তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। তবে মাক্রোঁ পরবর্তী কর্মসূচি কী ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি প্রাসাদ।

বামপন্থিরা মাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করলেও অতি দক্ষিণপন্থি নেত্রী লে পেন এখনই মাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করছেন না। তার বক্তব্য, বুধবারের ভোটকে তারা জয় হিসেবে দেখছেন না। আর কোনো উপায় ছিল না বলেই বুধবার আস্থাভোটের সামনে সরকারকে দাঁড় করাতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, এই সমস্যা থেকে বার হওয়ার এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে, নতুন করে ভোটের ব্যবস্থা করা। লে পেন মনে করেন, মাক্রোঁও আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

বিজনেস আওয়ার/ ০৫ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: