ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 13

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: যে কোনো ফরম্যাটেই হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দই আলাদা। সেটা সিনিয়র কিংবা জুনিয়র- যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রান করে অলআউট হয়ে যায়।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ভারতও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হলো ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সেই সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের যুবারা।

এক বছর আগে, ২০২৩ সালে এই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলদেশ।

যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এশিয়ার সেরা হবে কে? বাংলাদেশ না ভারত? দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লড়াই শুরুর আগে থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। ১৯৯ রানের মামুলি লক্ষ্যে ভারত সহজে তাড়া করে ফেলবে, এমন চিন্তা যারা করেছিল, বাংলাদেশের বোলিং শুরু হওয়ার পর সেই চিন্তা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা।

শুরুতে ইকবাল হোসেন ইমন আর আল ফাহাদ মিলে ভারতীয় যুবাদের বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিলেন। তাতে ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ভারতীয়রা।

এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান এবং হার্দিক রাজ মিলে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ২৩ রানে জুটি গড়েন তারা। এ সময় ভারতীয়দের আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য মাত্র ১৯৯। ওয়ানডেতে অনেকটাই মামুলি। কিন্তু এই মামুলি রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানেই আয়ুশ মাত্রিকে হারায় ভারত। এরপর ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হন বিভাব সূর্যবংশি। দলের রান তখন ২৪।

এরপর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ করেন ২০ রান। ২১ রান করে আউট হন কেপি কার্তিকিয়া। নিখিল কুমার শূন্য রানে আউট হন। ৬ রানে হারভানস পাঙ্গালিয়া আউট হন। কিরণ চরমালে ১ রানে আউট হন।

৩১.৫ ওভারে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ৮ম ব্যাটার হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৬৫ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তিনি। হার্দিক রাজ ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হন আজিজুল হাকিমের এলবিডব্লিউতে। সর্বশেষ চেতন শর্মা ১২ বলে ১০ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে কালাম সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সে সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

আজিজুল হাকিম, ইকবাল হোসেন ইমন নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন আল ফাহাদ। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা, রিজান হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৯৮ রান করে জুনিয়র টাইগাররা। রিজান হাসান সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৪০ রান করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৩৯ রান করেন ফরিদ হাসান। ২০ রান করেন জাওয়াদ আবরার।

বিজনেস আওয়ার/ ০৮ ডিসেম্বর/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: যে কোনো ফরম্যাটেই হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দই আলাদা। সেটা সিনিয়র কিংবা জুনিয়র- যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রান করে অলআউট হয়ে যায়।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ভারতও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হলো ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সেই সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের যুবারা।

এক বছর আগে, ২০২৩ সালে এই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলদেশ।

যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এশিয়ার সেরা হবে কে? বাংলাদেশ না ভারত? দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লড়াই শুরুর আগে থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। ১৯৯ রানের মামুলি লক্ষ্যে ভারত সহজে তাড়া করে ফেলবে, এমন চিন্তা যারা করেছিল, বাংলাদেশের বোলিং শুরু হওয়ার পর সেই চিন্তা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা।

শুরুতে ইকবাল হোসেন ইমন আর আল ফাহাদ মিলে ভারতীয় যুবাদের বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিলেন। তাতে ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ভারতীয়রা।

এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান এবং হার্দিক রাজ মিলে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ২৩ রানে জুটি গড়েন তারা। এ সময় ভারতীয়দের আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য মাত্র ১৯৯। ওয়ানডেতে অনেকটাই মামুলি। কিন্তু এই মামুলি রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানেই আয়ুশ মাত্রিকে হারায় ভারত। এরপর ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হন বিভাব সূর্যবংশি। দলের রান তখন ২৪।

এরপর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ করেন ২০ রান। ২১ রান করে আউট হন কেপি কার্তিকিয়া। নিখিল কুমার শূন্য রানে আউট হন। ৬ রানে হারভানস পাঙ্গালিয়া আউট হন। কিরণ চরমালে ১ রানে আউট হন।

৩১.৫ ওভারে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ৮ম ব্যাটার হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৬৫ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তিনি। হার্দিক রাজ ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হন আজিজুল হাকিমের এলবিডব্লিউতে। সর্বশেষ চেতন শর্মা ১২ বলে ১০ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে কালাম সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সে সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

আজিজুল হাকিম, ইকবাল হোসেন ইমন নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন আল ফাহাদ। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা, রিজান হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৯৮ রান করে জুনিয়র টাইগাররা। রিজান হাসান সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৪০ রান করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৩৯ রান করেন ফরিদ হাসান। ২০ রান করেন জাওয়াদ আবরার।

বিজনেস আওয়ার/ ০৮ ডিসেম্বর/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: