ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশঙ্কা-ই সত্যি হলো, ১৮১ যাত্রীর ১৭৯ জনই মারা গেলেন

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 19

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ এ থাকা ১৮১ জন আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই উড়োজাহাজের ১৭৯ আরোহী নিহত হয়েছেন। বেঁচে যাওয়া দুই ক্রুকে বিধ্বস্ত প্লেনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। জানা গেছে, ফ্লাইটটিতে উড়োজাহাজে ১৭৫ যাত্রী ছিলেন। বাকি ছয় ক্রুর চারজন নিহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক। মুয়ান বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ চলাচল করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে ও দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই উড়োজাহাজের এক অংশে আগুন ধরে যায়।

এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার কোনো কারণ নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে হতে পারে। বিবিসি এর আগে জানিয়েছিল, কর্মকর্তারা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি ব্ল্যাক বক্স অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন।

বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানায়, একটি ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ভয়েস রেকর্ডার অপরিবর্তিত রয়েছে। তদন্তকারীদের একজন জানিয়েছেন, ক্ষতির কারণে তথ্য উদ্ধার করতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও অন্যান্যরা। রোববার সিউলে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কিম ই-বে ও অন্য কর্মকর্তাদের মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ৩০ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আশঙ্কা-ই সত্যি হলো, ১৮১ যাত্রীর ১৭৯ জনই মারা গেলেন

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ এ থাকা ১৮১ জন আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই উড়োজাহাজের ১৭৯ আরোহী নিহত হয়েছেন। বেঁচে যাওয়া দুই ক্রুকে বিধ্বস্ত প্লেনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। জানা গেছে, ফ্লাইটটিতে উড়োজাহাজে ১৭৫ যাত্রী ছিলেন। বাকি ছয় ক্রুর চারজন নিহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক। মুয়ান বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ চলাচল করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে ও দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই উড়োজাহাজের এক অংশে আগুন ধরে যায়।

এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার কোনো কারণ নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে হতে পারে। বিবিসি এর আগে জানিয়েছিল, কর্মকর্তারা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি ব্ল্যাক বক্স অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন।

বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানায়, একটি ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ভয়েস রেকর্ডার অপরিবর্তিত রয়েছে। তদন্তকারীদের একজন জানিয়েছেন, ক্ষতির কারণে তথ্য উদ্ধার করতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও অন্যান্যরা। রোববার সিউলে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কিম ই-বে ও অন্য কর্মকর্তাদের মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ৩০ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: