ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচার ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে: সেলিম উদ্দিন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচার ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এমনকি বই, খাতা, কলমসহ সব শিক্ষা উপকরণের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণখান পশ্চিম থানা জামায়াতের ৫০ নং ওয়ার্ডের আয়োজনে সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগিরকের আয়-রোজগারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। রাষ্ট্রই খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সব মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

দেশের এক শ্রেণির রাজনীতিক জনগণের ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার বনে যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ ও জনগণের ওপর জুলুম করার জন্যই মাস্তান পোষেন। মানুষ তাদের পেছনে দৌঁড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেদিন শেষ হয়ে এসেছে। অপরাজনীতি বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই চলবে না। এদেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রেখেই করতে হবে। এক টাকার ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও জনগণকে কষ্ট দেওয়ার অশুভ বৃত্ত থেকে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের বিপরীতে জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আমরা জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে সক্ষম হব।

তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম-শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। তাই সেই অশুভ রাজনীতির কালো থাবা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদেরকে জনকল্যাণের রাজনীতি শুরু করতে হবে। কীভাবে দেশের সকল নাগরিক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে, সকলে মিলে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের মতে দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকার সমস্যার সমাধনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হওয়া দরকার। তাহলেই দেশ আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি। দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করতে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির।

থানা আমির আবু সাঈদ শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো. মামুন, সেক্রেটারি আলী হোসাইন মুরাদ, সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম ভূঁইয়া, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আইয়্যুব আলী, মো. আশরাফুল আলম, সিরাজুল ইসলাম মামুন, নূরুল কবির ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।

বিজনেস আওয়ার/ ০৬ জানুয়ারি / কাউছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচার ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে: সেলিম উদ্দিন

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচার ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এমনকি বই, খাতা, কলমসহ সব শিক্ষা উপকরণের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণখান পশ্চিম থানা জামায়াতের ৫০ নং ওয়ার্ডের আয়োজনে সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগিরকের আয়-রোজগারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। রাষ্ট্রই খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সব মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

দেশের এক শ্রেণির রাজনীতিক জনগণের ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার বনে যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ ও জনগণের ওপর জুলুম করার জন্যই মাস্তান পোষেন। মানুষ তাদের পেছনে দৌঁড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেদিন শেষ হয়ে এসেছে। অপরাজনীতি বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই চলবে না। এদেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রেখেই করতে হবে। এক টাকার ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও জনগণকে কষ্ট দেওয়ার অশুভ বৃত্ত থেকে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের বিপরীতে জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আমরা জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে সক্ষম হব।

তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম-শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। তাই সেই অশুভ রাজনীতির কালো থাবা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদেরকে জনকল্যাণের রাজনীতি শুরু করতে হবে। কীভাবে দেশের সকল নাগরিক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে, সকলে মিলে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের মতে দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকার সমস্যার সমাধনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হওয়া দরকার। তাহলেই দেশ আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি। দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করতে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির।

থানা আমির আবু সাঈদ শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো. মামুন, সেক্রেটারি আলী হোসাইন মুরাদ, সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম ভূঁইয়া, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আইয়্যুব আলী, মো. আশরাফুল আলম, সিরাজুল ইসলাম মামুন, নূরুল কবির ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।

বিজনেস আওয়ার/ ০৬ জানুয়ারি / কাউছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: