বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিডিআর (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ শিগগিরই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবে। কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, যদি ভারত সরকার অনুমতি দেয়, তবে তারা ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তবে, ভারতের অনুমতি ছাড়াও, কমিশন এর জন্য তাদের যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দেশি-বিদেশি সবার সহযোগিতা নিয়ে তদন্তে এগিয়ে যাবে।
তদন্ত কমিশন ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সব পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, তারা যদি ভারতের অনুমতি পান, তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইবেন এবং তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তবে, কমিশনের কাজ চলাকালীন তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তা বা যানবাহন সুবিধা না পাওয়া সত্ত্বেও তদন্ত চালিয়ে যাবেন।
কমিশন প্রধান জানিয়েছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা ছিল তা যেন পুরোপুরি তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, এজন্য বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যদি ভারতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে না আনা হয়, তবে ভারত সরকারের অনুমতি পেলে তারা ভারতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করবেন।
তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত জড়িত বললেই হবে না, তার পক্ষে যথাযথ প্রমাণও হাজির করতে হবে।” আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু প্রমাণ গত ১৬ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে, এখন থেকে কোনো তথ্য বা প্রমাণ ধ্বংস করা হবে না, এবং সমস্ত প্রমাণ উন্মুক্তভাবে তোলা হবে।
তদন্ত শেষ করার জন্য তিন মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও, যদি প্রয়োজন পড়ে, তবে কমিশন সময় বাড়ানোর আবেদনও করতে পারে। কমিশন তাদের কাজের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে, সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করবে।
বিজনেস আওয়ার/ ০৭ জানুয়ারি / রহমান