ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিমান্ড শেষে কারাগারে সেলিম পুত্র ইরফান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা- ৭ আসনের সাংসদ এ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ইরফানের তার দেহরক্ষী জাহিদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে একই মামলায় দুদিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মবিনুল হক তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

গত ২৬ অক্টোবর সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ওইদিন পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করে র‌্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।

কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কারাগারে পাঠান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রিমান্ড শেষে কারাগারে সেলিম পুত্র ইরফান

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা- ৭ আসনের সাংসদ এ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ইরফানের তার দেহরক্ষী জাহিদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে একই মামলায় দুদিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মবিনুল হক তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

গত ২৬ অক্টোবর সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ওইদিন পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করে র‌্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।

কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কারাগারে পাঠান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: