ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্স এবং রপ্তানির শক্তিতে বৈদেশিক লেনদেনে ইতিবাচক পরিবর্তন

  • পোস্ট হয়েছে : ১৭ মিনিট আগে
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক লেনদেনে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) ঘাটতি প্রায় ৪৯.৫০ শতাংশ কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ব্যালান্স অফ পেমেন্টের মোট ঘাটতি পৌঁছেছে ২.৪৭ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২.৪৩ বিলিয়ন ডলার কম।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এই ঘাটতি হ্রাসকে দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি সংকেত হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “এই প্রবৃদ্ধিতে রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। কারণ বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের ক্ষেত্রে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।”

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ: চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি এবং আমদানির মধ্যে ব্যবধান, অর্থাৎ বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই উন্নতির জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি হ্রাসকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এ সময়ের শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭.৮৮ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯.৮৬ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি ১০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আমদানি ১.২ শতাংশ কমেছে।

চলতি হিসাবে ঘাটতি কমেছে ৯৪ শতাংশ: ঊর্ধ্বমুখী রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে চলতি হিসাবে ঘাটতি আগের বছরের তুলনায় ৯৪ শতাংশ কমে ২২৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১.১৪ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সময়ে ছিল ৮.৮১ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ এতে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।

আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ৫৮১ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশটির ব্যালান্স অফ পেমেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে আর্থিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮১ মিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮১১ মিলিয়ন ডলার। এটি প্রমাণ করে যে চলতি অর্থবছরে এই ঘাটতি প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১০ জানুয়ারি / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রেমিট্যান্স এবং রপ্তানির শক্তিতে বৈদেশিক লেনদেনে ইতিবাচক পরিবর্তন

পোস্ট হয়েছে : ১৭ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক লেনদেনে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) ঘাটতি প্রায় ৪৯.৫০ শতাংশ কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ব্যালান্স অফ পেমেন্টের মোট ঘাটতি পৌঁছেছে ২.৪৭ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২.৪৩ বিলিয়ন ডলার কম।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এই ঘাটতি হ্রাসকে দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি সংকেত হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “এই প্রবৃদ্ধিতে রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। কারণ বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের ক্ষেত্রে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।”

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ: চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি এবং আমদানির মধ্যে ব্যবধান, অর্থাৎ বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই উন্নতির জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি হ্রাসকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এ সময়ের শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭.৮৮ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯.৮৬ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি ১০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আমদানি ১.২ শতাংশ কমেছে।

চলতি হিসাবে ঘাটতি কমেছে ৯৪ শতাংশ: ঊর্ধ্বমুখী রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে চলতি হিসাবে ঘাটতি আগের বছরের তুলনায় ৯৪ শতাংশ কমে ২২৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১.১৪ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সময়ে ছিল ৮.৮১ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ এতে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।

আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ৫৮১ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশটির ব্যালান্স অফ পেমেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে আর্থিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮১ মিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮১১ মিলিয়ন ডলার। এটি প্রমাণ করে যে চলতি অর্থবছরে এই ঘাটতি প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১০ জানুয়ারি / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: