স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিস্টোফার কুঙ্কু এবং এমিল ফর্সবার্গের গোলে পিএসজির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয় পায় জার্মান ক্লাব লাইপজিগ। পিএসজিকে পেয়ে যেন গেল মৌসুমের সেমিফাইনালে প্রতিশোধটাই নিয়ে নিল আরবি লাইপজিগ। সেবার পিএসজি লাইপজিগকে বিদায় দিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছিল।
এদিন নেইমার জুনিয়র আর কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়া শুরুটা দারুণ করেছিল পিএসজি। শুরুতেই পিএসজি আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটের মাথায় ময়েস কিনের অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে জড়ান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ময়েস কিনের শট হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডায়োট উপামেকানো, ডি বক্সের ভেতরের হ্যান্ডবলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করলেন ডি মারিয়া।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে ৪১ মিনিটের মাথায় অ্যাঞ্জেলিনোর কাছ থেকে পিএসজির ডি বক্সের লাইনে বল পেয়ে যান ক্রিস্টোফার কুঙ্কু। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া জোরালো শট কেইলর নাভাসকে পরাস্থ করে জালে জড়ালে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে লাইপজিগ। আর সমতায় থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই অন্য এক লাইপজিগের দেখা মেলে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে লাইপজিগ তবে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ আসে পিএসজির কাছে। ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় দানিলো পেইরেরার শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে সে যাত্রায় রক্ষা পায় লাইপজিগ।
এর মিনিট দুই পরে অ্যাঞ্জেলিনোর দুর্দান্ত এক থ্রু বল ধরতে ব্যর্থ হন লাইপজিগ ফরোয়ার্ড ফর্সবার্গ। তবে ভিএআরে দেখা মেলে কিম্পেম্বে ফর্সবার্গকে ফাউল করায় বল ধরতে পারেননি তিনি। আর তাতেই লাইপজিগকে পেনাল্টি উপহার দেয় রেফারি।
পেনাল্টি স্পট থেকে এমিল ফর্সবার্গ গোল করে লাইপজিগকে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ইদ্রিস গানা গায়া ফাউল করে বসেন হায়দারাকে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান। আগেও একবার হলুদ কার্ড দেখার ফলে ইদ্রিস গায়াকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ত্যাগের নির্দেশ দেন রেফারি।
ম্যাচের বাকি ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে হয় পিএসজিকে। তবে না ১০ জন নয়, শেষ মুহূর্তে খেলার নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা পাঁচ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় প্রেস্নেল কিম্পেম্বকে। তাতেই ৯ জনের দলে পরিণত হয় প্যারিসের ক্লাবটি।
আর শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে। এই জয়ে আরবি লাইপজিগ গ্রুপ এইচের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তিন ম্যাচে দুই জয় এবং এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে একই ফলাফল নিয়েও দ্বিতীয় স্থানে আরবি লাইপজিগ।
বিজনেস আওয়ার/০৫ নভেম্বর, ২০২০/এ