ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলাম ধর্মভিত্তিক দলগুলোর জোট কতদূর?

  • পোস্ট হয়েছে : ২ ঘন্টা আগে
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরিশালে গিয়ে গত মঙ্গলবার চরমোনাই পির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে তিনি চরমোনাই পিরের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

এরপর ইসলাম ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নির্বাচনী জোটের বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচিত হচ্ছে। এসব দলের নেতারা মনে করেন জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলের নিজস্ব একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছুটা প্রভাবও তৈরি করতে পারেন। সেটিই তাদের জোট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে ধারণা করা হয়।

এ নিয়ে চরমোনাই পির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা চাইছেন আগামী নির্বাচনে ইসলামভিত্তিক দলগুলোর যেন একটি বাক্স থাকে। নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ভুলে তাদের ভোট যেন সামনে আর ভাগাভাগি না হয়।

জামায়াতের মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, জামায়াতে ইসলামীও বলছে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেই এর একটি রূপ দেখা যাবে। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদীও জানিয়েছেন, ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রক্রিয়া অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে।

চরমোনাই পির আরও বলেন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ও নেজামে ইসলামসহ অনেকগুলো দলের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বা মতপার্থক্য আছে এটি সত্যি। কিন্তু আশা করি আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচনী জোট বা সমঝোতায় আমরা উপনীত হতে পারবো।

এদিকে, এরই মধ্যে সরকারের ঘনিষ্ঠ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাদের সমর্থিত জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকের ধারণা শেষ পর্যন্ত ছাত্ররা দল করতে সক্ষম হলেও এককভাবে নির্বাচন করা তাদের জন্য কঠিন হতে পারে।

সেক্ষেত্রে বিএনপি তাদের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী না হলে জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি দলগুলোর যে জোট হবে তার সঙ্গে ছাত্রদের সম্ভাব্য দলের নির্বাচনী ঐক্য হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এই আভাষই দিয়েছে যে তাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে। মনে হচ্ছে তারা একটি নির্বাচনি ঐক্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তারা সেটি পারেন কি না।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ জানুয়ারি / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইসলাম ধর্মভিত্তিক দলগুলোর জোট কতদূর?

পোস্ট হয়েছে : ২ ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরিশালে গিয়ে গত মঙ্গলবার চরমোনাই পির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে তিনি চরমোনাই পিরের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

এরপর ইসলাম ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নির্বাচনী জোটের বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচিত হচ্ছে। এসব দলের নেতারা মনে করেন জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলের নিজস্ব একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছুটা প্রভাবও তৈরি করতে পারেন। সেটিই তাদের জোট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে ধারণা করা হয়।

এ নিয়ে চরমোনাই পির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা চাইছেন আগামী নির্বাচনে ইসলামভিত্তিক দলগুলোর যেন একটি বাক্স থাকে। নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ভুলে তাদের ভোট যেন সামনে আর ভাগাভাগি না হয়।

জামায়াতের মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, জামায়াতে ইসলামীও বলছে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেই এর একটি রূপ দেখা যাবে। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদীও জানিয়েছেন, ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রক্রিয়া অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে।

চরমোনাই পির আরও বলেন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ও নেজামে ইসলামসহ অনেকগুলো দলের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বা মতপার্থক্য আছে এটি সত্যি। কিন্তু আশা করি আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচনী জোট বা সমঝোতায় আমরা উপনীত হতে পারবো।

এদিকে, এরই মধ্যে সরকারের ঘনিষ্ঠ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাদের সমর্থিত জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকের ধারণা শেষ পর্যন্ত ছাত্ররা দল করতে সক্ষম হলেও এককভাবে নির্বাচন করা তাদের জন্য কঠিন হতে পারে।

সেক্ষেত্রে বিএনপি তাদের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী না হলে জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি দলগুলোর যে জোট হবে তার সঙ্গে ছাত্রদের সম্ভাব্য দলের নির্বাচনী ঐক্য হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এই আভাষই দিয়েছে যে তাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে। মনে হচ্ছে তারা একটি নির্বাচনি ঐক্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তারা সেটি পারেন কি না।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ জানুয়ারি / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: