ঢাকা , শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইফ-কারিনার পরিবারকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ

  • পোস্ট হয়েছে : ৩৭ মিনিট আগে
  • 2

বিনোদন ডেস্ক: হামলার কারণে বলিউড তারকা সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর খানের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে এরই মধ্যে অস্থায়ী সুরক্ষা প্রদান শুরু করেছে। সাইফ গত সপ্তাহে নিজের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। এরপর তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং ৬ দিন হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সাইফকে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তার বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ‘ইন্ডিয়ান টাইমস’ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সাইফ, কারিনা এবং তাদের দুই সন্তান- তৈমুর এবং জেহকে অস্থায়ী সুরক্ষা প্রদান করছে। প্রতিবেদনে একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, পরিবারকে দুজন কনস্টেবল সরবরাহ করা হয়েছে এবং তারা যখনই বাইরে যাবে তখন তারা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

সাইফ আলি খান হাসপাতাল থেকে ফিরে তার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে যাননি। সেখান থেকে কিছুটা দূরে অন্য এক বাড়িতে উঠেছেন এ অভিনেতা। ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টার কিছু পরেই হাসপাতালে পৌঁছে যান শর্মিলা ঠাকুর। তারপর আসেন কারিনা কাপুর খান। দুপুর ২টার পর সাইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।

সোমবার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাইফকে মঙ্গলবার ছুটি দেওয়া হতে পারে। আপাতত তাকে বাড়িতে টানা বিশ্রামে থাকতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। আগামী দুতিন দিন শুয়ে থাকতে হবে এ অভিনেতাকে। এক সপ্তাহ কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। কারণ, এখনো তার জখম পুরোপুরি শুকায়নি।

সাইফ আপাতত বান্দ্রার অন্য এক ফ্ল্যাটে থাকবেন। জানা গেছে, এ ফ্ল্যাটে নিজের কার্যালয় খুলেছিলেন অভিনেতা। এরই মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে। ছেলেদের খেলনাও নিয়ে আসা হয়েছে।

১৬ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিজেই লীলাবতী হাসপাতালে উপস্থিত হন সাইফ। সে সময় তার হাত ধরে ছিল ৮ বছরের তৈমুর। জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকার অভিজাত আবাসন ‘সৎগুরু শরণ’র ১২ তলায় সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর খানের এক দুষ্কৃতকারী ফ্ল্যাটে হানা দেয়। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ওই ব্যক্তিকে কারিনার ছোট ছেলে জেহর ঘরের সামনে আবিষ্কার করেন তার দেখভালে নিযুক্ত এক নারীকর্মী। তার চিৎকারেই ছুটে আসেন আর এক নারী কর্মী এবং সাইফ। এরপরই শুরু হয় হাতাহাতি।

অভিযোগ করা হয় সেসময় ধারালো ছুরি নিয়ে অভিনেতার উপর চড়াও হন ওই ব্যক্তি। এলোপাথাড়ি কোপে শরীরে প্রায় ৬ জায়গায় আঘাত লাগে সাইফের। সামান্য জখম হন এক নারীকর্মীও। তারপর সাইফ নিজেই একটি অটোরিকশা ভাড়া করে চলে যান ২ কিলোমিটার দূরে লীলাবতী হাসপাতালে। তখনো তার পিঠে, মেরুদণ্ডের কাছে গেঁথে রয়েছে ছুরির আড়াই ইঞ্চি ভাঙা ফলা। সে দিন সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানান, বিপদমুক্ত সাইফ। হাতে, ঘাড়ে, পিঠে প্রায় ছটি জখমের মধ্যে দুটি গুরুতর ছিল বলেও জানা যায়।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাইফ-কারিনার পরিবারকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ

পোস্ট হয়েছে : ৩৭ মিনিট আগে

বিনোদন ডেস্ক: হামলার কারণে বলিউড তারকা সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর খানের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে এরই মধ্যে অস্থায়ী সুরক্ষা প্রদান শুরু করেছে। সাইফ গত সপ্তাহে নিজের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। এরপর তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং ৬ দিন হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সাইফকে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তার বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ‘ইন্ডিয়ান টাইমস’ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সাইফ, কারিনা এবং তাদের দুই সন্তান- তৈমুর এবং জেহকে অস্থায়ী সুরক্ষা প্রদান করছে। প্রতিবেদনে একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, পরিবারকে দুজন কনস্টেবল সরবরাহ করা হয়েছে এবং তারা যখনই বাইরে যাবে তখন তারা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

সাইফ আলি খান হাসপাতাল থেকে ফিরে তার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে যাননি। সেখান থেকে কিছুটা দূরে অন্য এক বাড়িতে উঠেছেন এ অভিনেতা। ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টার কিছু পরেই হাসপাতালে পৌঁছে যান শর্মিলা ঠাকুর। তারপর আসেন কারিনা কাপুর খান। দুপুর ২টার পর সাইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।

সোমবার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাইফকে মঙ্গলবার ছুটি দেওয়া হতে পারে। আপাতত তাকে বাড়িতে টানা বিশ্রামে থাকতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। আগামী দুতিন দিন শুয়ে থাকতে হবে এ অভিনেতাকে। এক সপ্তাহ কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। কারণ, এখনো তার জখম পুরোপুরি শুকায়নি।

সাইফ আপাতত বান্দ্রার অন্য এক ফ্ল্যাটে থাকবেন। জানা গেছে, এ ফ্ল্যাটে নিজের কার্যালয় খুলেছিলেন অভিনেতা। এরই মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে। ছেলেদের খেলনাও নিয়ে আসা হয়েছে।

১৬ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিজেই লীলাবতী হাসপাতালে উপস্থিত হন সাইফ। সে সময় তার হাত ধরে ছিল ৮ বছরের তৈমুর। জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকার অভিজাত আবাসন ‘সৎগুরু শরণ’র ১২ তলায় সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর খানের এক দুষ্কৃতকারী ফ্ল্যাটে হানা দেয়। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ওই ব্যক্তিকে কারিনার ছোট ছেলে জেহর ঘরের সামনে আবিষ্কার করেন তার দেখভালে নিযুক্ত এক নারীকর্মী। তার চিৎকারেই ছুটে আসেন আর এক নারী কর্মী এবং সাইফ। এরপরই শুরু হয় হাতাহাতি।

অভিযোগ করা হয় সেসময় ধারালো ছুরি নিয়ে অভিনেতার উপর চড়াও হন ওই ব্যক্তি। এলোপাথাড়ি কোপে শরীরে প্রায় ৬ জায়গায় আঘাত লাগে সাইফের। সামান্য জখম হন এক নারীকর্মীও। তারপর সাইফ নিজেই একটি অটোরিকশা ভাড়া করে চলে যান ২ কিলোমিটার দূরে লীলাবতী হাসপাতালে। তখনো তার পিঠে, মেরুদণ্ডের কাছে গেঁথে রয়েছে ছুরির আড়াই ইঞ্চি ভাঙা ফলা। সে দিন সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানান, বিপদমুক্ত সাইফ। হাতে, ঘাড়ে, পিঠে প্রায় ছটি জখমের মধ্যে দুটি গুরুতর ছিল বলেও জানা যায়।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: