বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ নিশ্চিত করেছেন পিট হেগসেথ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সিনেটেও তার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে অসদাচারণসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন পিট হেগসেথ। খবর বিবিসির।
শুক্রবার রাতে সিনেটে তার নিয়োগ নিশ্চিতে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু ৫০-৫০ এ ‘টাই’ হয়ে যাওয়ায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রচেষ্টায় পিট হেগসেথের শেষ রক্ষা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটের প্রাক্তন নেতা মিচ ম্যাককনেলসহ তিন রিপাবলিকান সিনেটর তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদাধিকার বলে সিনেটের প্রেসিডেন্ট হন। সাধারণত তাকে এ ধরনের ভোটাভুটিতে অংশ নিতেত হয় না তবে ‘টাই-ব্রেকিং’ পরিস্থিতি হলেই তিনি ভোট দেন। সিনেটের ভোটে ডেমোক্র্যাট ও স্বতন্ত্র সদস্যদের সবাই হেগসেথের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক হেগসেথ যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। তার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, তিনি আফগানিস্তান, ইরাক ও কিউবার গুয়ানতানামো বে-তে দায়িত্বপালন করেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেসেবে হেগসেথের পদ নিশ্চিতকরণের শুনানিতে যৌন নিপীড়ন, অসদাচরণ এবং মদ্যপান সম্পর্কে তিনি একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। পেন্টাগনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হেগসেথ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাকে এমন একটি পদের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে যেখানে প্রায় ৩০ লাখ কর্মী এবং ৮৪৯ বিলিয়ন ডলারের বাজেট তত্ত্বাবধান করতে হবে। ট্রাম্প তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানাতে চাওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি।
বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জানুয়ারি / হাসান