ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাজিলকে ৬ গোল দিয়ে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় জয়

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • 9

স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিল জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক যে কোনো ফুটবলে আর্জেন্টিনার কাছে এতবড় ব্যবধানে আর কখনো হারেনি। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের কাছে ৬-০ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারলো ব্রাজিল অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল।

ব্রাজিল জাতীয় দল যতবারই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছে, এর মধ্যে দুটি ম্যাচের স্কোর ছিল ৬ গোলের। তবে একপাশে গোলসংখ্যা ৬ হলেও অন্যপাশেও গোল ছিল। একবার আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের কাছে হেরেছিলো ৬-১ গোলের ব্যবধানে (১৯৪০ সালে)। অন্যবার ব্রাজিল হেরেছিলো ৬-২ গোলের ব্যবধানে (১৯৪৫ সালে)। তবে এবারই প্রথম ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলটি ৬ গোল হজম করে একটি গোলও দিতে পারেনি।

দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ৭১ বছরের ইতিহাসে শুক্রবার রাতের আগ পর্যন্ত ব্রাজিল কখনও তিন গোলের বেশি ব্যবধানেই হারেনি। আবার দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের এই চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বশেষ কোনও দল ৬-০ গোলে হেরেছিল ২০১৩ সালে। বলিভিয়ার জালে ৬ গোল করেছিল কলম্বিয়া।

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটিতে ৯বার আর্জেন্টিনার গোললক্ষ্যে শট নিয়েছিলো ব্রাজিলের ফুটবলাররা; কিন্তু তার একটিও গোল হওয়ার মত ছিল না। অন্যদিকে ১৩ শট নিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। যার ৫টিই গোল হয়েছে। অন্যটি ছিল আত্মঘাতি।

৮৫ বছর পর রেকর্ড নতুন করে লিখলেন ক্লদিও এচেভেরিরা। ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে ন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ হিসেবে এটাই ছিল দিয়েগোদ প্লেসেন্তের প্রথম ম্যাচ। গত ডিসেম্বরে হ্যাভিয়ের মাচেরানো ইন্টার মিয়ামি কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন প্লেসেন্তে।

গ্রুপ ‘বি’ এর প্রথম ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিলকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। ১১ মিনিটের মধ্যেই ৩ গোল পেয়ে যায় তারা। ৬ মিনিটে রিভারপ্লেটের প্রতিভা ইয়ার সুবিয়াব্রের করা গোলের উৎস ছিলেন ভ্যালেন্তিনো আকুনা। লিওনেল মেসিকে নিয়ে স্প্যানিশ পরিচালক অ্যালেক্স দে লা ইগলেসিয়ার বানানো তথ্যচিত্রে এই আকুনা মেসির চরিত্রে ছিলেন।

৮ম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ম্যানচেস্টার সিটির (এখন ধারে রিভার প্লেটে) ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ক্লদিও এচেভেরি। তার গোলেরও উৎস ছিলেন আকুনা।

তিন মিনিট পরই আত্মঘাতী গোল করে বসেন ব্রাজিলের রাইট ব্যাক ইগর সেরাতো। বিরতির পর ৫২, ৫৪ ও ৭৮ মিনিটে আরও তিন গোল করে আর্জেন্টিনা। অনেকটা প্রথমার্ধের পুনরাবৃত্তির মতোই দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর ৭ ও ৯ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে গোল এনে দেন অগাস্তিন রুবের্তো ও এচেভেরি। শেষ গোলটি সান্তিয়াগো হিদালগোর।

চিলিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা করে নেবে ওই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে। মোট ১০টি দল ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে ভাগ হয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে লড়ছে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিন দলকে নিয়ে মোট ছয় দলের রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা পাবে চিলিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে।

ব্রাজিল পরের ম্যাচ খেলবে ২৬ জানুয়ারি কলম্বিয়ার বিপক্ষে। আর্জেন্টিনা খেলবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ব্রাজিলকে ৬ গোল দিয়ে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় জয়

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিল জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক যে কোনো ফুটবলে আর্জেন্টিনার কাছে এতবড় ব্যবধানে আর কখনো হারেনি। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের কাছে ৬-০ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারলো ব্রাজিল অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল।

ব্রাজিল জাতীয় দল যতবারই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছে, এর মধ্যে দুটি ম্যাচের স্কোর ছিল ৬ গোলের। তবে একপাশে গোলসংখ্যা ৬ হলেও অন্যপাশেও গোল ছিল। একবার আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের কাছে হেরেছিলো ৬-১ গোলের ব্যবধানে (১৯৪০ সালে)। অন্যবার ব্রাজিল হেরেছিলো ৬-২ গোলের ব্যবধানে (১৯৪৫ সালে)। তবে এবারই প্রথম ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলটি ৬ গোল হজম করে একটি গোলও দিতে পারেনি।

দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ৭১ বছরের ইতিহাসে শুক্রবার রাতের আগ পর্যন্ত ব্রাজিল কখনও তিন গোলের বেশি ব্যবধানেই হারেনি। আবার দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের এই চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বশেষ কোনও দল ৬-০ গোলে হেরেছিল ২০১৩ সালে। বলিভিয়ার জালে ৬ গোল করেছিল কলম্বিয়া।

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটিতে ৯বার আর্জেন্টিনার গোললক্ষ্যে শট নিয়েছিলো ব্রাজিলের ফুটবলাররা; কিন্তু তার একটিও গোল হওয়ার মত ছিল না। অন্যদিকে ১৩ শট নিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। যার ৫টিই গোল হয়েছে। অন্যটি ছিল আত্মঘাতি।

৮৫ বছর পর রেকর্ড নতুন করে লিখলেন ক্লদিও এচেভেরিরা। ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে ন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ হিসেবে এটাই ছিল দিয়েগোদ প্লেসেন্তের প্রথম ম্যাচ। গত ডিসেম্বরে হ্যাভিয়ের মাচেরানো ইন্টার মিয়ামি কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন প্লেসেন্তে।

গ্রুপ ‘বি’ এর প্রথম ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিলকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। ১১ মিনিটের মধ্যেই ৩ গোল পেয়ে যায় তারা। ৬ মিনিটে রিভারপ্লেটের প্রতিভা ইয়ার সুবিয়াব্রের করা গোলের উৎস ছিলেন ভ্যালেন্তিনো আকুনা। লিওনেল মেসিকে নিয়ে স্প্যানিশ পরিচালক অ্যালেক্স দে লা ইগলেসিয়ার বানানো তথ্যচিত্রে এই আকুনা মেসির চরিত্রে ছিলেন।

৮ম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ম্যানচেস্টার সিটির (এখন ধারে রিভার প্লেটে) ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ক্লদিও এচেভেরি। তার গোলেরও উৎস ছিলেন আকুনা।

তিন মিনিট পরই আত্মঘাতী গোল করে বসেন ব্রাজিলের রাইট ব্যাক ইগর সেরাতো। বিরতির পর ৫২, ৫৪ ও ৭৮ মিনিটে আরও তিন গোল করে আর্জেন্টিনা। অনেকটা প্রথমার্ধের পুনরাবৃত্তির মতোই দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর ৭ ও ৯ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে গোল এনে দেন অগাস্তিন রুবের্তো ও এচেভেরি। শেষ গোলটি সান্তিয়াগো হিদালগোর।

চিলিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা করে নেবে ওই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে। মোট ১০টি দল ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে ভাগ হয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে লড়ছে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিন দলকে নিয়ে মোট ছয় দলের রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা পাবে চিলিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে।

ব্রাজিল পরের ম্যাচ খেলবে ২৬ জানুয়ারি কলম্বিয়ার বিপক্ষে। আর্জেন্টিনা খেলবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: