ঢাকা , সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ গানের বাংলা অর্থ কী?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • 5

বিনোদন ডেস্ক: ইন্টারনেটের এই যুগে নিত্য নতুন জিনিস ভাইরাল হচ্ছে এখন। মুহুর্তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর তাতে বুদ হয়ে থাকছেন কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি ছিঃ’ শিরোনামের একটি গান।

ইউটিউব, টিকটক, ফেসবুক রিলস সবখানেই বাজছে গানটি। ভারতের বাইরে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান থেকেও লাখো মানুষ গানটি খুঁজে খুঁজে শুনছেন। অর্থ না জানলেও শ্রোতারা মজেছেন এর সুরে। এমনকি গানটির উৎপত্তি কোথা থেকে সেটিও অনেকেরই অজানা।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। গানের এই লাইনগুলোই এখন মুখে মুখে সবার। কিন্তু গানের কথাগুলো মোটেও বোধগম্য হচ্ছে না তো?

গানটির বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – ‘সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।

গানটির উৎপত্তি সম্পর্কে জানা গেছে, গানটি তিন দশকের পুরনো। এটি মূলত ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের গান। গানটির ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে দুই দশক আগে। শিল্পীর নাম সত্য অধিকারী। গানটি ১৯৯৫ সালে প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল।

এরপর ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। আর গানটির ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানবভঞ্জন নায়ক। গানের ভিডিওতে এক দরিদ্র কৃষক ও তার প্রেমিকাকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর তার উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন কৃষক প্রেমিক।

এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও’র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও। আর এতো বছর পর ইন্টারনেটের এই যুগে গানটি ভাইরাল হয়ে যায়। এখন ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম, টিকটক থেকে ইউটিউব- সব জায়গায় ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে এই গান।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ গানের বাংলা অর্থ কী?

পোস্ট হয়েছে : ০৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: ইন্টারনেটের এই যুগে নিত্য নতুন জিনিস ভাইরাল হচ্ছে এখন। মুহুর্তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর তাতে বুদ হয়ে থাকছেন কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি ছিঃ’ শিরোনামের একটি গান।

ইউটিউব, টিকটক, ফেসবুক রিলস সবখানেই বাজছে গানটি। ভারতের বাইরে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান থেকেও লাখো মানুষ গানটি খুঁজে খুঁজে শুনছেন। অর্থ না জানলেও শ্রোতারা মজেছেন এর সুরে। এমনকি গানটির উৎপত্তি কোথা থেকে সেটিও অনেকেরই অজানা।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। গানের এই লাইনগুলোই এখন মুখে মুখে সবার। কিন্তু গানের কথাগুলো মোটেও বোধগম্য হচ্ছে না তো?

গানটির বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – ‘সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।

গানটির উৎপত্তি সম্পর্কে জানা গেছে, গানটি তিন দশকের পুরনো। এটি মূলত ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের গান। গানটির ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে দুই দশক আগে। শিল্পীর নাম সত্য অধিকারী। গানটি ১৯৯৫ সালে প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল।

এরপর ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। আর গানটির ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানবভঞ্জন নায়ক। গানের ভিডিওতে এক দরিদ্র কৃষক ও তার প্রেমিকাকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর তার উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন কৃষক প্রেমিক।

এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও’র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও। আর এতো বছর পর ইন্টারনেটের এই যুগে গানটি ভাইরাল হয়ে যায়। এখন ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম, টিকটক থেকে ইউটিউব- সব জায়গায় ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে এই গান।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: