ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
  • 58

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মামলার দু’জন তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুনের আদালতে সাক্ষ্য দেন তার।

মামলার দু’ই কর্মকর্তা হলেন- মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও অভিযোগপত্র প্রদানকারী সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম তাদের জেরা করেন।

২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। আগামী ১২ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন। গত ২৬ আগস্ট এ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন।

পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।

পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।

এর আগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেন আদালত। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।

বিজনেস আওয়ার/০৫ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মামলার দু’জন তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুনের আদালতে সাক্ষ্য দেন তার।

মামলার দু’ই কর্মকর্তা হলেন- মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও অভিযোগপত্র প্রদানকারী সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম তাদের জেরা করেন।

২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। আগামী ১২ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন। গত ২৬ আগস্ট এ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন।

পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।

পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।

এর আগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেন আদালত। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।

বিজনেস আওয়ার/০৫ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: