বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: প্রকাশ্যে কোরআন পুড়িয়ে মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সৃষ্টি করা সালওয়ান মোমিকাকে সুইডেনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।বুধবার সন্ধ্যায় স্টকহোমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৩৮ বছর বয়সী ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্টকহোম পুলিশের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
২০২৩ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রথম দুইবার কোরআন পোড়ান মোমিকা। প্রথম দফাটি হয় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে। দ্বিতীয়টি ইরাকি দূতাবাসের বাইরে। বাকস্বাধীনতা আইনের অজুহাতে সুইডিশ পুলিশ কর্তৃক অনুমোদিত এই ধর্ম অবমাননাকর কাজটি মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ও নিন্দার ঢেউ ছড়িয়ে দেয়।
গত আগস্টে সুইডেনের একজন প্রসিকিউটর মোমিকা ও কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘একটি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের’ অভিযোগ আনেন।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান থেকে নাস্তিক হওয়া মোমিকা নিজেকে একজন ‘উদার নাস্তিক সমালোচক এবং চিন্তাবিদ’ হিসেবে বর্ণনা করতেন। গত বছর আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে মোমিকা বলেছিলেন, তিনি সুইডেন ছেড়ে নরওয়ে চলে গেছেন এবং সেখানে আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অসলো ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের এ সংক্রান্ত এক রায়ের নথি অনুসারে, মোমিকাকে গত বছরের ২৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। তার একদিন আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ সেসময় জানায়, ৩০ মার্চ (২০২৪ সালের) শুনানির পর মোমিকাকে চার সপ্তাহের জন্য আটক রাখার সিদ্ধান্ত নেন আদালত। ইইউ আইন মেনে নরওয়েজিয়ান ডিরেক্টরেট অব ইমিগ্রেশন (ইউডিআই) তাকে সুইডেনে ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে বলেও তখন জানানো হয়।
বিজনেস আওয়ার/ ৩০ জানুয়ারি / হাসান