ঢাকা , শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোল্ডেন হার্ভেস্ট বন্ধ করার জন্য বন্ড বিনিয়োগকারীর আবেদন

  • পোস্ট হয়েছে : ১০ মিনিট আগে
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো পিএলসি বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন করেছে কোম্পানিটির বন্ড বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স ২০১৭ সালে বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রোর বন্ডে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতের আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আবেদনে বলেছে, আদালত যেন গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো বন্ধ করে এর সম্পদ নিলাম করে ডেল্টা লাইফের বিনিয়োগ ফিরিয়ে দেওয়া নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে ডেল্টা লাইফের আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেছেন, ডেল্টা লাইফ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং কোম্পানিটির তার ক্লায়েন্ট এবং শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে।”

তিনি জানান, কোম্পানি আইনের ২৪১ এবং ২৪২ ধারা অনুসারে ঋণ খেলাপি কোম্পানির অবসানের জন্য ঋণদাতা বা বন্ড বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন। উক্ত আইনে ডেল্টা লাইফ আদালতে আবেদন করেছে।

এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ জানুয়ারী আবেদনকারীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুটি পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করার এবং নোটিশ প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সম্মতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের পর, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো “তার ব্যবসা সম্প্রসারণের” জন্য ২০১৭ সালে বেসরকারি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার একটি রিডেম্বল ও নন-কনভার্টেবল কর্পোরেট বন্ড ইস্যু করে।

ডেল্টা লাইফের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মিল্টন ব্যাপারী সংবাদ মাধ্যকে বলেন, “আমরা ৫০ কোটি টাকার বন্ডে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি যেখানে কোম্পানিটি ১০% থেকে ১১.৫% বার্ষিক সুদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৭ সালে বন্ডে তাদের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের জন্য গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো পিএলসি বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন করেছে।”

কোম্পানিটি রিডেম্বল সময়কালের শুরু থেকেই ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বন্ডের সাত বছরের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ডেল্টা লাইফের কাছে তাদের ২৫ কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে এবং শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে সহয়তার আবেদন করলেও কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ডেল্টা লাইফ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।

উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে বন্ড ইস্যুকারী ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম, তাহলে তারা কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে বিক্রির অর্থ ব্যবহার করে বঞ্চিত বন্ড হোল্ডার, ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধ করতে একজন লিকুইডেটর নিয়োগ করতে পারে বলে আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো পিএলসি-ও শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ০১ ফেব্রুয়ারি / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গোল্ডেন হার্ভেস্ট বন্ধ করার জন্য বন্ড বিনিয়োগকারীর আবেদন

পোস্ট হয়েছে : ১০ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো পিএলসি বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন করেছে কোম্পানিটির বন্ড বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স ২০১৭ সালে বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রোর বন্ডে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতের আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আবেদনে বলেছে, আদালত যেন গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো বন্ধ করে এর সম্পদ নিলাম করে ডেল্টা লাইফের বিনিয়োগ ফিরিয়ে দেওয়া নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে ডেল্টা লাইফের আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেছেন, ডেল্টা লাইফ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং কোম্পানিটির তার ক্লায়েন্ট এবং শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে।”

তিনি জানান, কোম্পানি আইনের ২৪১ এবং ২৪২ ধারা অনুসারে ঋণ খেলাপি কোম্পানির অবসানের জন্য ঋণদাতা বা বন্ড বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন। উক্ত আইনে ডেল্টা লাইফ আদালতে আবেদন করেছে।

এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ জানুয়ারী আবেদনকারীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুটি পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করার এবং নোটিশ প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সম্মতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের পর, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো “তার ব্যবসা সম্প্রসারণের” জন্য ২০১৭ সালে বেসরকারি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার একটি রিডেম্বল ও নন-কনভার্টেবল কর্পোরেট বন্ড ইস্যু করে।

ডেল্টা লাইফের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মিল্টন ব্যাপারী সংবাদ মাধ্যকে বলেন, “আমরা ৫০ কোটি টাকার বন্ডে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি যেখানে কোম্পানিটি ১০% থেকে ১১.৫% বার্ষিক সুদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৭ সালে বন্ডে তাদের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের জন্য গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো পিএলসি বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন করেছে।”

কোম্পানিটি রিডেম্বল সময়কালের শুরু থেকেই ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বন্ডের সাত বছরের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ডেল্টা লাইফের কাছে তাদের ২৫ কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে এবং শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে সহয়তার আবেদন করলেও কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ডেল্টা লাইফ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।

উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে বন্ড ইস্যুকারী ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম, তাহলে তারা কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে বিক্রির অর্থ ব্যবহার করে বঞ্চিত বন্ড হোল্ডার, ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধ করতে একজন লিকুইডেটর নিয়োগ করতে পারে বলে আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো পিএলসি-ও শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ০১ ফেব্রুয়ারি / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: