ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এখন রশিদ খান

  • পোস্ট হয়েছে : ১৮ মিনিট আগে
  • 2

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেটশিকারীর তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন রশিদ খান। ২৬ বছর বয়সী আফগানিস্তানের এই রিস্ট স্পিনার মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০-তে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পার্ল রয়্যালসের বিপক্ষে দুনিথ ওয়েলালাগেকে আউট করে এই ইতিহাস লেখেন।

এতদিন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভোর। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ৫৮২ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৬৩১ উইকেট। ব্রাভোর রেকর্ড রশিদ খান ভেঙেছেন ১২১ ম্যাচ কম খেলেই। ৬৩৩ উইকেট শিকার করতে আফগান ডানহাতি স্পিনারের লেগেছে মাত্র ৪৬১ ম্যাচ।

নিজের দল এমআই ক্যাপ টাউনকে জয় উপহার ও ইতিহাস গড়ার পর রশিদ খান বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ অর্জন। আমি কখনো ভাবিনি যে এখানে আসতে পারবো। যদি ১০ বছর আগে কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতো, আমি কখনো এ সম্পর্কে চিন্তাও করিনি। আফগানিস্তান থেকে এই পর্যায়ে পৌঁছানো একটি গর্বের বিষয়। ডিজে (ব্রাভো) টি-টোয়েন্টির সেরা বোলারদের একজন। এটি একটি বড় সম্মান এবং আমি এই ধারা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।’

রশিদ খানের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল কিশোর বয়সেই, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। এখন ৫০০ ম্যাচের মাইলফলকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন লিগে বহুল চাহিদাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত রশিদ খান। আইপিএল ও পিএসএলে একটি করে শিরোপা জিতেছেন। অস্ট্রেলিয়ার দল অ্যাডিলেডে ৬৯টি ম্যাচ খেলে প্রায় ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছেন।

দ্রুতগতিতে বল করার ক্ষমতা ও স্টাম্পের টার্গেট রাখার দক্ষতা থাকায় ব্যাটারদের জন্য অত্যন্ত কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন রশিদ। ব্যাটারদের সবদিক ঠিক করে খেলতে দেন না তিনি। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের চাপে ফেলতে দারুণভাবে কার্যকর এই আফগান তারকা।

গত বছর দ্য ক্রিকেট মান্থলি-তে এক সাক্ষাৎকারে রশিদ বলেন, ‘উইকেট নেওয়া সব সময় তার প্রধান লক্ষ্য নয়। যদি কেউ আমাকে মেরে খেলার চেষ্টা করে, আমি তাকে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলবো। যদি সে তাও মেরে ফেলে, তাহলে এটি একটি ভালো শট। কিন্তু আমি চাপ সৃষ্টি করা থেকে সরে আসবো না। এটি আরও কঠিন এবং কঠিনতর করে তোলার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।’

অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য হান্ড্রেড, সিপিএল এবং বিপিএলে খেলার সময় রশিদের ব্যাটিংয়েও উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। তিনি এমন একজন খেলোয়াড়, যে কিনা ব্যাট হাতে উইকেটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ছক্কা হাঁকাতে পারেন। তার নিজস্ব একটি শটও রয়েছে। যাকে বলা হয়, স্নেক শট। ইয়র্কার লেন্থের বলে ব্যাট এমনভাবে ব্যবহার করেন, যেন এটি সাপের মতো ছোবল মারছে।

২০১৮ সালের আইপিএলের প্লে-অফে অলরাউন্ড হিসেবে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন রশিদ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মাত্র ১০ বলে ৩৪ রান করেন এবং বল হাতে ৩ উইকেট নেন। আর ফিল্ডিংয়ে ২টি ক্যাচ নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রশিদ।

বিজনেস আওয়ার/ ০৫ ফেব্রুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এখন রশিদ খান

পোস্ট হয়েছে : ১৮ মিনিট আগে

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেটশিকারীর তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন রশিদ খান। ২৬ বছর বয়সী আফগানিস্তানের এই রিস্ট স্পিনার মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০-তে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পার্ল রয়্যালসের বিপক্ষে দুনিথ ওয়েলালাগেকে আউট করে এই ইতিহাস লেখেন।

এতদিন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভোর। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ৫৮২ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৬৩১ উইকেট। ব্রাভোর রেকর্ড রশিদ খান ভেঙেছেন ১২১ ম্যাচ কম খেলেই। ৬৩৩ উইকেট শিকার করতে আফগান ডানহাতি স্পিনারের লেগেছে মাত্র ৪৬১ ম্যাচ।

নিজের দল এমআই ক্যাপ টাউনকে জয় উপহার ও ইতিহাস গড়ার পর রশিদ খান বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ অর্জন। আমি কখনো ভাবিনি যে এখানে আসতে পারবো। যদি ১০ বছর আগে কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতো, আমি কখনো এ সম্পর্কে চিন্তাও করিনি। আফগানিস্তান থেকে এই পর্যায়ে পৌঁছানো একটি গর্বের বিষয়। ডিজে (ব্রাভো) টি-টোয়েন্টির সেরা বোলারদের একজন। এটি একটি বড় সম্মান এবং আমি এই ধারা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।’

রশিদ খানের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল কিশোর বয়সেই, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। এখন ৫০০ ম্যাচের মাইলফলকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন লিগে বহুল চাহিদাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত রশিদ খান। আইপিএল ও পিএসএলে একটি করে শিরোপা জিতেছেন। অস্ট্রেলিয়ার দল অ্যাডিলেডে ৬৯টি ম্যাচ খেলে প্রায় ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছেন।

দ্রুতগতিতে বল করার ক্ষমতা ও স্টাম্পের টার্গেট রাখার দক্ষতা থাকায় ব্যাটারদের জন্য অত্যন্ত কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন রশিদ। ব্যাটারদের সবদিক ঠিক করে খেলতে দেন না তিনি। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের চাপে ফেলতে দারুণভাবে কার্যকর এই আফগান তারকা।

গত বছর দ্য ক্রিকেট মান্থলি-তে এক সাক্ষাৎকারে রশিদ বলেন, ‘উইকেট নেওয়া সব সময় তার প্রধান লক্ষ্য নয়। যদি কেউ আমাকে মেরে খেলার চেষ্টা করে, আমি তাকে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলবো। যদি সে তাও মেরে ফেলে, তাহলে এটি একটি ভালো শট। কিন্তু আমি চাপ সৃষ্টি করা থেকে সরে আসবো না। এটি আরও কঠিন এবং কঠিনতর করে তোলার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।’

অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য হান্ড্রেড, সিপিএল এবং বিপিএলে খেলার সময় রশিদের ব্যাটিংয়েও উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। তিনি এমন একজন খেলোয়াড়, যে কিনা ব্যাট হাতে উইকেটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ছক্কা হাঁকাতে পারেন। তার নিজস্ব একটি শটও রয়েছে। যাকে বলা হয়, স্নেক শট। ইয়র্কার লেন্থের বলে ব্যাট এমনভাবে ব্যবহার করেন, যেন এটি সাপের মতো ছোবল মারছে।

২০১৮ সালের আইপিএলের প্লে-অফে অলরাউন্ড হিসেবে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন রশিদ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মাত্র ১০ বলে ৩৪ রান করেন এবং বল হাতে ৩ উইকেট নেন। আর ফিল্ডিংয়ে ২টি ক্যাচ নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রশিদ।

বিজনেস আওয়ার/ ০৫ ফেব্রুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: