ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকিবের সুপারশপ উদ্বোধনে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
  • 56

স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসানের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার খবর পুরোনো। ঢাকায় পা রাখার ৯ ঘন্টা পর গুলশানে ‘জয়’ নামে একটি সুপারশপের উদ্বোধন করেন সাকিব। আর এমন ঘটনায় হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠছে, সাকিব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোয়ারেন্টাইন বিষয়ক বিধি ভেঙেছে কিনা?

সুপারশপ উদ্বোধন মানেই লোকজনের ভিড়। আর যেখানে সাকিবের মতো একজন বিশ্বমানের তারকার উপস্থিত, চিত্রটা অনুমেয়। বাস্তবেও তাই হয়েছে। তাদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট ছিলেন সাকিব। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। লোকজনের ভিড় ঠেলেই ফিতা কাটতে হয়েছে সাকিবকে।

প্রথম দিকে মুখে মাস্ক থাকলেও এক পযায়ে সাকিবের মাস্ক খোলা দেখা যায়। অথচ কোয়ারেন্টাইন বিধি অনুযায়ী বিদেশ থেকে কেউ করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এলেও তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য বিশেষ ব্যবস্থা করে রেখেছে কোচ-ক্রিকেটারদের জন্য।
কোচদের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হয়েছিল। বিদেশ থেকে আগত কোচরা প্রথমে নিয়ম মেনেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কয়েকদিন করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তারা যোগ দেন অনুশীলনে।

সাকিবের জন্যও এই ব্যবস্থা করে রেখেছিল বিসিবি। আগামী সোমবার তার ফিটনেস পরীক্ষা হওয়ার কথা মিরপুরে। ধরে নেয়া হচ্ছিল, ওই সময় পর্যন্ত তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। কিন্তু তিনি থাকলেন না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আকরাম খান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিসিবির বলার মতো কিছু নেই। ক্রিকেটাররা যখন বায়ো-বাবলে থাকে, তখন দেখভালের দায়িত্ব বিসিবির। সাকিব তো বাবলে নেই। তার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে আমাদের মন্তব্য নেই।

করোনার সময় বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও নিয়ম হলো দেশের নাগরিকরা বিদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এলে ১৪ দিন হোম কোয়ারিন্টিনে থাকবেন। সার্টিফিকেট না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে থাকবেন। আর বাইরে তো মাস্ক ব্যবহার করাই নিয়ম।

কিন্তু এই নিয়ম দেশের কে কতটা মানছেন তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও সাকিব আল হাসান- যিনি বাংলাদেশের জান। তরুণদের আইকন, আইডল। যার মাধ্যমে মানুষ বাংলাদেশকে আরো বেশি করে চেনে। যাকে দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ অনুসরণ করে তিনি কি এভাবে নিয়ম ভেঙে ঠিক করেছেন! এমন প্রশ্ন অনেকের?

বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাকিবের সুপারশপ উদ্বোধনে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা

পোস্ট হয়েছে : ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসানের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার খবর পুরোনো। ঢাকায় পা রাখার ৯ ঘন্টা পর গুলশানে ‘জয়’ নামে একটি সুপারশপের উদ্বোধন করেন সাকিব। আর এমন ঘটনায় হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠছে, সাকিব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোয়ারেন্টাইন বিষয়ক বিধি ভেঙেছে কিনা?

সুপারশপ উদ্বোধন মানেই লোকজনের ভিড়। আর যেখানে সাকিবের মতো একজন বিশ্বমানের তারকার উপস্থিত, চিত্রটা অনুমেয়। বাস্তবেও তাই হয়েছে। তাদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট ছিলেন সাকিব। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। লোকজনের ভিড় ঠেলেই ফিতা কাটতে হয়েছে সাকিবকে।

প্রথম দিকে মুখে মাস্ক থাকলেও এক পযায়ে সাকিবের মাস্ক খোলা দেখা যায়। অথচ কোয়ারেন্টাইন বিধি অনুযায়ী বিদেশ থেকে কেউ করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এলেও তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য বিশেষ ব্যবস্থা করে রেখেছে কোচ-ক্রিকেটারদের জন্য।
কোচদের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হয়েছিল। বিদেশ থেকে আগত কোচরা প্রথমে নিয়ম মেনেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কয়েকদিন করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তারা যোগ দেন অনুশীলনে।

সাকিবের জন্যও এই ব্যবস্থা করে রেখেছিল বিসিবি। আগামী সোমবার তার ফিটনেস পরীক্ষা হওয়ার কথা মিরপুরে। ধরে নেয়া হচ্ছিল, ওই সময় পর্যন্ত তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। কিন্তু তিনি থাকলেন না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আকরাম খান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিসিবির বলার মতো কিছু নেই। ক্রিকেটাররা যখন বায়ো-বাবলে থাকে, তখন দেখভালের দায়িত্ব বিসিবির। সাকিব তো বাবলে নেই। তার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে আমাদের মন্তব্য নেই।

করোনার সময় বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও নিয়ম হলো দেশের নাগরিকরা বিদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এলে ১৪ দিন হোম কোয়ারিন্টিনে থাকবেন। সার্টিফিকেট না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে থাকবেন। আর বাইরে তো মাস্ক ব্যবহার করাই নিয়ম।

কিন্তু এই নিয়ম দেশের কে কতটা মানছেন তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও সাকিব আল হাসান- যিনি বাংলাদেশের জান। তরুণদের আইকন, আইডল। যার মাধ্যমে মানুষ বাংলাদেশকে আরো বেশি করে চেনে। যাকে দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ অনুসরণ করে তিনি কি এভাবে নিয়ম ভেঙে ঠিক করেছেন! এমন প্রশ্ন অনেকের?

বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: