স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলের চলতি আসরে সবমিলিয়ে ৮ ম্যাচে হেরেছে বিরাট কোহলি দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে শেষ পরাজয়টাই আসল সর্বনাশ করল। শুক্রবার রাতে এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ওয়ার্নারের হায়দরাবাদ। এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু। জবাবে ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার শ্রীভাতস গোস্বামীর (০) উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এরপর মনিশ পান্ডেকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। সাবধানী ব্যাটিং করেও অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই অজি ওপেনার। বেঙ্গালুরুর পেসার সিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৭ রান। মনিশ পান্ডেও (২৪) ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি।
৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা হায়দরাবাদকে পথে দেখাচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। মাঝে প্রিয়ম গার্গ ৭ রান করে আউট হলেও জেসন হোল্ডার এসে হাল ধরেন। উইলিয়ামসন ও হোল্ডারের অবিচ্ছিন্ন জুটিই শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ৪৪ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কিউই অধিনায়ক। আর হোল্ডার খেলেন ২০ বলে ২৪ রানের কার্যকরী ইনিংস।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই দুই ওপেনার বিরাট কোহলি (৬) ও দেবদূত পাডিক্কালের (১) উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। দুটি উইকেটই যায় হোল্ডারের ঝুলিতে। পরে শিভব দুবের উইকেটও নেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করে বড় ভূমিকা রাখেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।
দলের বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন বেঙ্গালুরুর এবি ডি ভিলিয়ার্স ও অ্যারন ফিঞ্চ। দুজনে মিলে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন। তবে দলকে ৫৬ রানে রেখে নাদিমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন অজি অধিনায়ক (৩২)। অন্যপ্রান্তে একাই রানের চাকা সচল রাখার কাজ চালিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স। তবে ১৮তম ওভারের শেষ বলে বিদায়ের আগে ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
লিগ পর্বে নিজেদের ১১তম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার দিয়ে শুরু। এরপর থেকেই বেঙ্গালুরুর টানা পরাজয়ের শুরু। ফলে টানা ৪ ম্যাচে হেরেও আগে পাওয়া জয়গুলোর কারণেই চতুর্থ স্থানে থেকে প্লে-অফে জায়গা পেয়েছিল দলটি। তবে প্রতিবারের মতো এবারও স্বপ্ন ভাঙল তাদের।
বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ