ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন দলে সম্ভাব্য নেতৃত্বে নাহিদ: দল ঘোষণা ২৪ ফেব্রুয়ারির আগেই

  • পোস্ট হয়েছে : এক ঘন্টা আগে
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির নেতারা দীর্ঘদিন ধরে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাদের লক্ষ্য একটি নতুন দল গঠন করা যা জনগণের কণ্ঠ হয়ে উঠবে। এই দলটির নাম ও প্রতীক ঘোষণা নিয়ে জনমত জরিপ করা হচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষ তাদের মতামত দিয়েছেন। দলটির নামের ক্ষেত্রে “নাগরিক অধিকার পার্টি”, “বৈষম্যবিরোধী দল” এবং “নাগরিক মর্যাদা” ইত্যাদি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, যা জনগণের অধিকার এবং মর্যাদাকে গুরুত্ব দেয়।

নতুন দলের সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও সদস্য সচিব হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং আখতার হোসেনের নাম উঠে এসেছে, একজনের নাম চূড়ান্ত হবে। দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, এবং আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।

এই দলটির জন্য কাঠামো, গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ চলছে। দলটি গঠন করার পিছনে রয়েছে একাধিক দেশের অভ্যুত্থান এবং যুদ্ধের পর গঠিত দলগুলির অনুপ্রেরণা, বিশেষ করে ভারতের “আম আদমি পার্টি”, তুরস্কের “জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি” (একে পার্টি), এবং পাকিস্তানের “পিটিআই” (ইমরান খানের দল) এর গঠন প্রক্রিয়া।

সামন্তা শারমিন এবং অন্যান্য নেতারা জানিয়েছেন যে, দলটি জনগণের চাহিদা এবং মতামত অনুযায়ী গঠন করা হবে, যাতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় এবং এক ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক কালচার সৃষ্টি না হয়। তারা আশা করছেন যে, এই দলটি জনগণের মধ্যে এক নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং তাদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনবে।

এছাড়া, দলটির নেতারা জানিয়েছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দল গঠনের সাথে সাথে তাদের মূল কাজ থাকবে জনগণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। এই দলের নেতারা নতুন রাষ্ট্রকল্প, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত, পররাষ্ট্রনীতি এবং অর্থনৈতিক খাতে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেন।

এই দলের গঠন প্রক্রিয়া বেশ কিছু চমক এবং তরুণ নেতাদের সংযোজন নিয়ে ঘটতে পারে, বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং বাম ছাত্রনেতাদের মধ্যে কিছু নেতা যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

সব মিলিয়ে, দলটি ২৪ ফেব্রুয়ারির আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দুনিয়ায় নতুন একটি পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৩ ফেব্রুয়ারি / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নতুন দলে সম্ভাব্য নেতৃত্বে নাহিদ: দল ঘোষণা ২৪ ফেব্রুয়ারির আগেই

পোস্ট হয়েছে : এক ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির নেতারা দীর্ঘদিন ধরে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাদের লক্ষ্য একটি নতুন দল গঠন করা যা জনগণের কণ্ঠ হয়ে উঠবে। এই দলটির নাম ও প্রতীক ঘোষণা নিয়ে জনমত জরিপ করা হচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষ তাদের মতামত দিয়েছেন। দলটির নামের ক্ষেত্রে “নাগরিক অধিকার পার্টি”, “বৈষম্যবিরোধী দল” এবং “নাগরিক মর্যাদা” ইত্যাদি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, যা জনগণের অধিকার এবং মর্যাদাকে গুরুত্ব দেয়।

নতুন দলের সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও সদস্য সচিব হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং আখতার হোসেনের নাম উঠে এসেছে, একজনের নাম চূড়ান্ত হবে। দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, এবং আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।

এই দলটির জন্য কাঠামো, গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ চলছে। দলটি গঠন করার পিছনে রয়েছে একাধিক দেশের অভ্যুত্থান এবং যুদ্ধের পর গঠিত দলগুলির অনুপ্রেরণা, বিশেষ করে ভারতের “আম আদমি পার্টি”, তুরস্কের “জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি” (একে পার্টি), এবং পাকিস্তানের “পিটিআই” (ইমরান খানের দল) এর গঠন প্রক্রিয়া।

সামন্তা শারমিন এবং অন্যান্য নেতারা জানিয়েছেন যে, দলটি জনগণের চাহিদা এবং মতামত অনুযায়ী গঠন করা হবে, যাতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় এবং এক ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক কালচার সৃষ্টি না হয়। তারা আশা করছেন যে, এই দলটি জনগণের মধ্যে এক নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং তাদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনবে।

এছাড়া, দলটির নেতারা জানিয়েছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দল গঠনের সাথে সাথে তাদের মূল কাজ থাকবে জনগণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। এই দলের নেতারা নতুন রাষ্ট্রকল্প, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত, পররাষ্ট্রনীতি এবং অর্থনৈতিক খাতে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেন।

এই দলের গঠন প্রক্রিয়া বেশ কিছু চমক এবং তরুণ নেতাদের সংযোজন নিয়ে ঘটতে পারে, বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং বাম ছাত্রনেতাদের মধ্যে কিছু নেতা যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

সব মিলিয়ে, দলটি ২৪ ফেব্রুয়ারির আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দুনিয়ায় নতুন একটি পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৩ ফেব্রুয়ারি / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: