বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। চিকিৎসার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে যে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, এবং তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তবে চিকিৎসকরা তার নিয়মিত ফলোআপ করছেন, এবং তার চিকিৎসা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।
খালেদা জিয়া যখন লন্ডনে যান, তখন তাকে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে বিশেষায়িত চিকিৎসক অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। বর্তমানে চিকিৎসকরা নিয়মিত রোস্টার অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বাসায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। যদিও তার চিকিৎসা এখনও সম্পূর্ণ শেষ হয়নি, তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানানো হয়েছে।
বিএনপির উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী গতকাল এক সাক্ষাৎকারে জানালেন যে, খালেদা জিয়া ঈদুল ফিতরের পর দেশে ফিরবেন, তবে তার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি জানান, চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন, এবং যখন তারা নিশ্চিত হবেন, তখনই দেশে ফেরার জন্য তার অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের ১৫ জন সফরসঙ্গীর মধ্যে আটজন ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন। তবে বাকি সাতজন এখনও খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন, এবং তাদের মধ্যে তিনজন হলেন— এনামুল হক চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং তাবিথ আউয়াল। তাঁদের মতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ হলে তিনি দেশে ফিরবেন, এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও গৃহপরিচারিকা এখনও তার সঙ্গে রয়েছেন।
একটি প্রশ্নের উত্তরে এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই, কারণ তারেকের দেশে ফিরে আসা রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।”
খালেদা জিয়া গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছানোর পর তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ১৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি তারেক রহমানের বাসায় চলে আসেন।
এখনো বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে, বিশেষ করে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময়সূচি এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে। তবে, এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে শারীরিক অবস্থা ভাল হওয়ার পরই দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বিজনেস আওয়ার/ ১৮ ফেব্রুয়ারি / কাউছার