ঢাকা , শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাবিল গ্রুপের এমডি ও হিরুকে জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 6

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে শেয়ারদর কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে জানুয়ারিতে ৮ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী সরকারি কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা রয়েছেন। আরোপিত জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসির তথ্যানুসারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন তদন্ত করা হয়। এ সময়ে শেয়ারটির দর ৬৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে প্রায় ৬৯ শতাংশ বেড়ে ১১৫ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। নাবিল ফিড মিলস লিমিটেড, নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড ও কোম্পানি দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম এ সময়ে ওরিয়ন ফার্মার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এর দর বাড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। তাই সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে মো. আমিনুল ইসলামকে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, নাবিল ফিড মিলস লিমিটেডকে ১০ লাখ ও নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর সময়ে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন তদন্ত করা হয়। এ সময়ে শেয়ারটির দর ২৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে প্রায় ৬১ শতাংশ বেড়ে ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়ায়। পুঁজিবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী এবং সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এর দর বাড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে হিরু ও তার সহযোগীদের জরিমানা করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে মো. আবুল খায়ের হিরুকে ২ কোটি ৩০ লাখ, তার পিতা আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ, তার বোন কনিকা আফরোজকে ১ লাখ, তার মা আলেয়া বেগমকে ১ লাখ, তার ভাই সাজিদ মাতবর ও মোহাম্মদ বশিরকে ১ লাখ করে ২ লাখ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেডকে ১২ লাখ ও মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। সব মিলিয়ে হিরু ও তার সহযোগীদের ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা এবং নভেম্বরে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪৩১ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ ফেব্রুয়ারি / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নাবিল গ্রুপের এমডি ও হিরুকে জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে শেয়ারদর কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে জানুয়ারিতে ৮ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী সরকারি কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা রয়েছেন। আরোপিত জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসির তথ্যানুসারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন তদন্ত করা হয়। এ সময়ে শেয়ারটির দর ৬৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে প্রায় ৬৯ শতাংশ বেড়ে ১১৫ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। নাবিল ফিড মিলস লিমিটেড, নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড ও কোম্পানি দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম এ সময়ে ওরিয়ন ফার্মার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এর দর বাড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। তাই সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে মো. আমিনুল ইসলামকে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, নাবিল ফিড মিলস লিমিটেডকে ১০ লাখ ও নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর সময়ে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন তদন্ত করা হয়। এ সময়ে শেয়ারটির দর ২৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে প্রায় ৬১ শতাংশ বেড়ে ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়ায়। পুঁজিবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী এবং সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এর দর বাড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে হিরু ও তার সহযোগীদের জরিমানা করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে মো. আবুল খায়ের হিরুকে ২ কোটি ৩০ লাখ, তার পিতা আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ, তার বোন কনিকা আফরোজকে ১ লাখ, তার মা আলেয়া বেগমকে ১ লাখ, তার ভাই সাজিদ মাতবর ও মোহাম্মদ বশিরকে ১ লাখ করে ২ লাখ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেডকে ১২ লাখ ও মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। সব মিলিয়ে হিরু ও তার সহযোগীদের ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা এবং নভেম্বরে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪৩১ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ ফেব্রুয়ারি / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: