ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরুদ শরিফ কখন ও কীভাবে পড়বেন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
  • 168

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : স্বয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনে এসেছে ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ সালাত ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কোরআনে এসেছে ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ সালাত ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।

  • জীবনে একবার দরুদ-সালাম পাঠ করা ফরজে আইন।
  • দরুদ-সালাম অত্যন্ত আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সঙ্গে খুব ধীরস্থিরভাবে চুপি চুপি পড়া উচিত।
  • দরুদ পড়ার সময় অধিক নড়াচড়া, মাথা দুলানো, চিৎকার বা উঁচু আওয়াজ করা যাবে না।
  • একই বৈঠকে একাধিকবার নবী (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে প্রথমবার সবার জন্য দরুদ পাঠ করা আবশ্যক (ওয়াজিব)।
  • নবীজি (সা.)-এর নাম এক বৈঠকে বারবার লিখলে প্রথমবার দরুদ লিখা আবশ্যক (ওয়াজিব)।
  • অজু ছাড়া যে কোনো অবস্থায় দরুদ পড়া যায়। তবে অজু অবস্থায় এবং আদবের সঙ্গে দরুদ পড়া উত্তম।
  • জুমা বা ঈদের খুতবায় নবী (সা.)-এর নাম এলে মনে মনে দরুদ পড়বে, মুখে উচ্চারণ করবে না।
  • নবীজির রওজা শরিফ জিয়ারত ও তার নাম বলা বা শোনার সময়।
  • মসজিদে প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময়।
  • কোনো বৈঠক থেকে ওঠার সময়।
  • দোয়া বা মোনাজাতের আগে ও পরে।
  • আজানের পর দোয়ার আগে।
  • অজুর শেষে, চিঠিপত্র বা অন্য কিছু লিখার আগে।
  • কোরআন তেলাওয়াত বা অন্য কোনো বইপুস্তক পাঠের আগে।
  • দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ ও সব রকমের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় বেশি করে দরুদ পড়ুন।

বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দরুদ শরিফ কখন ও কীভাবে পড়বেন

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : স্বয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনে এসেছে ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ সালাত ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কোরআনে এসেছে ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ সালাত ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।

  • জীবনে একবার দরুদ-সালাম পাঠ করা ফরজে আইন।
  • দরুদ-সালাম অত্যন্ত আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সঙ্গে খুব ধীরস্থিরভাবে চুপি চুপি পড়া উচিত।
  • দরুদ পড়ার সময় অধিক নড়াচড়া, মাথা দুলানো, চিৎকার বা উঁচু আওয়াজ করা যাবে না।
  • একই বৈঠকে একাধিকবার নবী (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে প্রথমবার সবার জন্য দরুদ পাঠ করা আবশ্যক (ওয়াজিব)।
  • নবীজি (সা.)-এর নাম এক বৈঠকে বারবার লিখলে প্রথমবার দরুদ লিখা আবশ্যক (ওয়াজিব)।
  • অজু ছাড়া যে কোনো অবস্থায় দরুদ পড়া যায়। তবে অজু অবস্থায় এবং আদবের সঙ্গে দরুদ পড়া উত্তম।
  • জুমা বা ঈদের খুতবায় নবী (সা.)-এর নাম এলে মনে মনে দরুদ পড়বে, মুখে উচ্চারণ করবে না।
  • নবীজির রওজা শরিফ জিয়ারত ও তার নাম বলা বা শোনার সময়।
  • মসজিদে প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময়।
  • কোনো বৈঠক থেকে ওঠার সময়।
  • দোয়া বা মোনাজাতের আগে ও পরে।
  • আজানের পর দোয়ার আগে।
  • অজুর শেষে, চিঠিপত্র বা অন্য কিছু লিখার আগে।
  • কোরআন তেলাওয়াত বা অন্য কোনো বইপুস্তক পাঠের আগে।
  • দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ ও সব রকমের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় বেশি করে দরুদ পড়ুন।

বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: