ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
  • 66

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবারও বড় উত্থান হয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। এতে ১৯৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও চস্বর্ণের দাম বাড়বে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

গত সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৮৭৮ ডলার। সপ্তাহে শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম হয়েছে ১৯৫১ দশমিক ৭০ ডলার। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৭৩ ডলার বা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে গত জুলাইয়ের পরে এই প্রথম এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বাড়ল।

স্বর্ণের দাম বাড়ার বিষয়ে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ইউএস ডলারের দরপতন হয়েছে। এ কারণে হঠাৎ করে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে। দু-একদিনের মধ্যে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নতুন করে প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম আড়াই হাজার টাকার মতো বাড়ানো হতে পারে।

করোনা মহামারির মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। দফায় দফায় দাম বেড়ে আগস্টের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৪ ডলারে উঠে যায়।

বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ৬ আগস্ট দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম রেকর্ড ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

৭ আগস্ট থেকে পতনের কবলে পড়ে উঠতে থাকা স্বর্ণের দাম ১১ আগস্ট এসে বড় পতন হয়। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১১২ ডলার পর্যন্ত কমে যায়। এরপরও চলতে থাকে স্বর্ণের দরপতনের ধারা। এতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম সাড়ে ১৮শ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পতনের মধ্যে পড়ায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সে সময় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৬২ হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার মধ্যেই ইউরোপজুড়ে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ধাপ। এতে বিশ্ববাজারে আবার স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ১৯শ ডলারের নিচে নেমে যাওয়া স্বর্ণের দাম আবার ১৯শ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় ১৫ অক্টোবর থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এ দফায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৩ হাজার ১৯২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৪ হাজার ৪৪৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫৪ হাজার ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৮ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ছে

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবারও বড় উত্থান হয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। এতে ১৯৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও চস্বর্ণের দাম বাড়বে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

গত সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৮৭৮ ডলার। সপ্তাহে শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম হয়েছে ১৯৫১ দশমিক ৭০ ডলার। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৭৩ ডলার বা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে গত জুলাইয়ের পরে এই প্রথম এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বাড়ল।

স্বর্ণের দাম বাড়ার বিষয়ে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ইউএস ডলারের দরপতন হয়েছে। এ কারণে হঠাৎ করে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে। দু-একদিনের মধ্যে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নতুন করে প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম আড়াই হাজার টাকার মতো বাড়ানো হতে পারে।

করোনা মহামারির মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। দফায় দফায় দাম বেড়ে আগস্টের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৪ ডলারে উঠে যায়।

বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ৬ আগস্ট দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম রেকর্ড ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

৭ আগস্ট থেকে পতনের কবলে পড়ে উঠতে থাকা স্বর্ণের দাম ১১ আগস্ট এসে বড় পতন হয়। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১১২ ডলার পর্যন্ত কমে যায়। এরপরও চলতে থাকে স্বর্ণের দরপতনের ধারা। এতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম সাড়ে ১৮শ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পতনের মধ্যে পড়ায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সে সময় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৬২ হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার মধ্যেই ইউরোপজুড়ে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ধাপ। এতে বিশ্ববাজারে আবার স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ১৯শ ডলারের নিচে নেমে যাওয়া স্বর্ণের দাম আবার ১৯শ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় ১৫ অক্টোবর থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এ দফায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৩ হাজার ১৯২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৪ হাজার ৪৪৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫৪ হাজার ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৮ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: