বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (বহিষ্কৃত) মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৮ নভেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে অস্ত্র মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মাদক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন। আদালত শুনানির জন্য রোববার (৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
২৬ অক্টোবর দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিন রাতেই ইরফান-জাহিদকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজনেস আওয়ার/০৮ নভেম্বর, ২০২০/এ