ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মশিউর সিকিউরিটিজের অর্থ আত্মসাতের বিষয় দুদকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • 6

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ব্রোকারেজ হাউজটির পরিচালক ও কর্মকর্তাদের একযোগে বিনিয়োগকারীদের থেকে প্রায় ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে মশিউর সিকিউরিটিজের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শেয়ার ও তহবিল তছরুপের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউজটির পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দুদকে জরুরি ভিত্তিতে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কে অবহিত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসইর পরিদর্শন দল ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির সিসিএ-তে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঘাটতি পায়। এতে দেখা যায়, বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে থাকা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে ১২৪ কোটি টাকা এবং ২০২১ সালে বানকো সিকিউরিটিজে ১২৮ কোটি টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে, মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করেন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। তদন্তে বিএসইসি দেখতে পায়, ব্রোকারেজ হাউজটি দীর্ঘদিন ধরেই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বর্তমানে সেই অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ এপ্রিল / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মশিউর সিকিউরিটিজের অর্থ আত্মসাতের বিষয় দুদকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ব্রোকারেজ হাউজটির পরিচালক ও কর্মকর্তাদের একযোগে বিনিয়োগকারীদের থেকে প্রায় ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে মশিউর সিকিউরিটিজের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শেয়ার ও তহবিল তছরুপের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউজটির পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দুদকে জরুরি ভিত্তিতে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কে অবহিত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসইর পরিদর্শন দল ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির সিসিএ-তে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঘাটতি পায়। এতে দেখা যায়, বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে থাকা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে ১২৪ কোটি টাকা এবং ২০২১ সালে বানকো সিকিউরিটিজে ১২৮ কোটি টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে, মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করেন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। তদন্তে বিএসইসি দেখতে পায়, ব্রোকারেজ হাউজটি দীর্ঘদিন ধরেই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বর্তমানে সেই অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ এপ্রিল / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: