ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলতো ভাইয়া চা খাবেন?

  • পোস্ট হয়েছে : এক ঘন্টা আগে
  • 6

বিনোদন ডেস্ক: চট্টগ্রামে র‍্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার মৃত্যুর খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পলাশ সাহার ‘আত্মহত্যা’র খবরে শোক জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জায়েদ খান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ছেলেটা (পলাশ) আজকে পারিবারিক কলহের কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে!’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের স্মৃতিকথা জানিয়ে জায়েদ খান লেখেন, ‘ছোট ভাই পলাশ। একই বিশ্ববিদ‍্যালয়ের হওয়াতে দেখা হলে ভালো লাগতো। খুব ভালো ছেলে ছিল। দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলতো ভাইয়া চা খাবেন?’

বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন সিপিসি-৩, র‍্যাব-৭ ক্যাম্পের নিজ অফিস কক্ষ থেকে এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুট‌ পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ- কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কোঅরডিনেট করে।’

পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র‍্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।

পলাশের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শোক জানিয়েছেন। নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুট আর তার বহু অর্জনের স্মৃতি।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহকর্মীরা। এসময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে তারা জানান। পরে সেখানে পলাশ সাহার মরদেহের সুরতহাল করা হয়।

বিকেল পৌনে ৫টায় ময়নাতদন্ত শেষে পলাশ সাহার মরদেহ পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওসি জানান, র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ তার নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পরপর র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরীবলেন, এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন- সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নই। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৮ মে / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলতো ভাইয়া চা খাবেন?

পোস্ট হয়েছে : এক ঘন্টা আগে

বিনোদন ডেস্ক: চট্টগ্রামে র‍্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার মৃত্যুর খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পলাশ সাহার ‘আত্মহত্যা’র খবরে শোক জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জায়েদ খান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ছেলেটা (পলাশ) আজকে পারিবারিক কলহের কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে!’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের স্মৃতিকথা জানিয়ে জায়েদ খান লেখেন, ‘ছোট ভাই পলাশ। একই বিশ্ববিদ‍্যালয়ের হওয়াতে দেখা হলে ভালো লাগতো। খুব ভালো ছেলে ছিল। দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলতো ভাইয়া চা খাবেন?’

বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন সিপিসি-৩, র‍্যাব-৭ ক্যাম্পের নিজ অফিস কক্ষ থেকে এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুট‌ পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ- কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কোঅরডিনেট করে।’

পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র‍্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।

পলাশের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শোক জানিয়েছেন। নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুট আর তার বহু অর্জনের স্মৃতি।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহকর্মীরা। এসময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে তারা জানান। পরে সেখানে পলাশ সাহার মরদেহের সুরতহাল করা হয়।

বিকেল পৌনে ৫টায় ময়নাতদন্ত শেষে পলাশ সাহার মরদেহ পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওসি জানান, র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ তার নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পরপর র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরীবলেন, এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন- সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নই। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৮ মে / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: