ঢাকা , রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির পর ফের আইপিএল শুরুর প্রস্তুতি বিসিসিআইয়ের

  • পোস্ট হয়েছে : ৬ মিনিট আগে
  • 1

স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর আইপিএলের এবারের আসর পুনরায় শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। গতকাল শনিবার (ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা ও পাকিস্তান সময় ৪টা ৩০ মিনিটে) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তোড়জোড় শুরু করে সংস্থাটি।

বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা পিটিআইকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার (আজ) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা দেখব কীভাবে সেরা সময়সূচি নির্ধারণ করে বাকি টুর্নামেন্ট শেষ করা যায়।’

ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানতে পেরেছে, সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে। কারণ টুর্নামেন্ট যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, সরকার অনুমতি দিলে আগামী সপ্তাহান্তেই, অর্থাৎ প্রায় ১৫ মে থেকেই আইপিএল আবার শুরু হতে পারে।

গেল শুক্রবার সীমান্তে উত্তেজনার কারণে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিল বিসিসিআই। সেই দিন ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে চলমান ম্যাচটি প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০.১ ওভারের পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাদের বিদেশি খেলোয়াড় ও স্টাফদের ফিরিয়ে আনা। কেননা অধিকাংশ খেলোয়াড় শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যে ভারত ছেড়েছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এরই মধ্যে অনেক খেলোয়াড় ও স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভারত ফিরতে প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

কেউ কেউ যাত্রাপথে থাকায় তাদের বলা হয়েছে আপাতত ভ্রমণ বন্ধ রাখতে। এমনকি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের কোচিং স্টাফ দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা স্থগিত করতে বলেছে।

কিছু দল এই দিক থেকে অপেক্ষাকৃত ভাগ্যবান। গুজরাট টাইটানসের কেবল দুই বিদেশি খেলোয়াড় (জস বাটলার এবং জেরাল্ড কোয়েৎজি) ভারত ছেড়েছেন। তাদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ক্রিকেটারদের ফেরাতে ২৫ মে-র আগেই টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনা করতে হবে বিসিসিআইকে। এই ডেডলাইনের পরও টুর্নামেন্ট চললে ক্রিকেটারদের ফেরার আশা থাকবে না। কারণ অনেক খেলোয়াড়ের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং ১১ জুন লর্ডসে শুরু হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলের মোট ৫৭টি ম্যাচ শেষ হয়েছে। ৫৮ ম্যাচটি ছিল পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের। যা ৮ মে ধর্মশালায় বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচটি পুনরায় খেলা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

এই মৌসুমে বাকি আছে ১২টি লিগ ম্যাচ ও ৪টি প্লে-অফ। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে এই ১৬টি ম্যাচ দক্ষিণ ভারতের তিনটি শহর– বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সাতটি দল এখনো প্লে-অফের দৌড়ে আছে। চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস ইতিমধ্যে বাদ পড়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১১ মে / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যুদ্ধবিরতির পর ফের আইপিএল শুরুর প্রস্তুতি বিসিসিআইয়ের

পোস্ট হয়েছে : ৬ মিনিট আগে

স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর আইপিএলের এবারের আসর পুনরায় শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। গতকাল শনিবার (ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা ও পাকিস্তান সময় ৪টা ৩০ মিনিটে) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তোড়জোড় শুরু করে সংস্থাটি।

বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা পিটিআইকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার (আজ) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা দেখব কীভাবে সেরা সময়সূচি নির্ধারণ করে বাকি টুর্নামেন্ট শেষ করা যায়।’

ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানতে পেরেছে, সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে। কারণ টুর্নামেন্ট যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, সরকার অনুমতি দিলে আগামী সপ্তাহান্তেই, অর্থাৎ প্রায় ১৫ মে থেকেই আইপিএল আবার শুরু হতে পারে।

গেল শুক্রবার সীমান্তে উত্তেজনার কারণে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিল বিসিসিআই। সেই দিন ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে চলমান ম্যাচটি প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০.১ ওভারের পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাদের বিদেশি খেলোয়াড় ও স্টাফদের ফিরিয়ে আনা। কেননা অধিকাংশ খেলোয়াড় শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যে ভারত ছেড়েছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এরই মধ্যে অনেক খেলোয়াড় ও স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভারত ফিরতে প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

কেউ কেউ যাত্রাপথে থাকায় তাদের বলা হয়েছে আপাতত ভ্রমণ বন্ধ রাখতে। এমনকি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের কোচিং স্টাফ দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা স্থগিত করতে বলেছে।

কিছু দল এই দিক থেকে অপেক্ষাকৃত ভাগ্যবান। গুজরাট টাইটানসের কেবল দুই বিদেশি খেলোয়াড় (জস বাটলার এবং জেরাল্ড কোয়েৎজি) ভারত ছেড়েছেন। তাদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ক্রিকেটারদের ফেরাতে ২৫ মে-র আগেই টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনা করতে হবে বিসিসিআইকে। এই ডেডলাইনের পরও টুর্নামেন্ট চললে ক্রিকেটারদের ফেরার আশা থাকবে না। কারণ অনেক খেলোয়াড়ের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং ১১ জুন লর্ডসে শুরু হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলের মোট ৫৭টি ম্যাচ শেষ হয়েছে। ৫৮ ম্যাচটি ছিল পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের। যা ৮ মে ধর্মশালায় বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচটি পুনরায় খেলা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

এই মৌসুমে বাকি আছে ১২টি লিগ ম্যাচ ও ৪টি প্লে-অফ। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে এই ১৬টি ম্যাচ দক্ষিণ ভারতের তিনটি শহর– বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সাতটি দল এখনো প্লে-অফের দৌড়ে আছে। চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস ইতিমধ্যে বাদ পড়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১১ মে / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: