বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক:‘কৃষিতে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকিতে রয়েছে মৌমাছি। সে কারণে মৌমাছি ও মৌচাষ রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানো, গবেষণা ও সবাই মিলে কাজ করা জরুরি। এতে কীটনাশকের অপব্যবহার বন্ধ হবে ও মৌমাছি বাঁচবে। এছাড়া মধুর উৎপাদন ও রপ্তানি প্রসারিত হবে।’
মঙ্গলবাদ (২০ মে) বিশ্ব মৌ দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে মৌমাছি, নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশ রক্ষায় ঝুঁকি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাপা, বিসেফ ফাউন্ডেশন এবং নর্থ বেঙ্গল হানি কমিউনিটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের মৌচাষি আব্দুর রশিদ মণ্ডল জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে তার খামারের ১৬০টি বাক্সে বিষ প্রয়োগে মৌমাছিগুলো মারা যায়, যার ক্ষতি প্রায় ৬ লাখ টাকা। তিনি বলেন, তরুণরা মৌচাষে আগ্রহ হারাচ্ছে এবং সচেতনতা ছাড়া এই শিল্প টিকবে না।
নর্থ বেঙ্গল হানি কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৃথিবীর ৮৬ শতাংশ পরাগায়ন মৌমাছির মাধ্যমে হয় এবং বর্তমানে ৬টি মৌজাতের মধ্যে ৪টি বিলুপ্তির পথে।
বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. জয়নুল আবেদীন বলেন, আগে কৃষিবিদরা কীটনাশকের পক্ষে থাকলেও এখন তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তিনি জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, গবেষণা, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা দরকার।
বাপার সভাপতি নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, দেশে কীটনাশক প্রয়োগের সঠিক নিয়ম মানা হয় না। তিনি তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেন। এর মধ্যে রয়েছে- যথাযথ রেজিস্ট্রেশন, মৌসুমি সংরক্ষণ এবং আবহাওয়া বিবেচনায় কীটনাশক প্রয়োগ।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশে মৌচাষকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ ও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। অতিরিক্ত কীটনাশকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, ফলন কমছে এবং মৌমাছির প্রজন্ম দুর্বল হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানসম্মত দেশীয় মধু উৎপাদনে মনোযোগ দিলে তা রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
বিজনেস আওয়ার/ ২১ মে / কাওছার