আমিরুল ইসলাম, লিসবন থেকে: পর্তুগালে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ পর্তুগালে বসবাস করা বিভিন্ন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্মানহানিমূলক বিভিন্ন ধরনের পোস্ট প্রচার করে আসছে এটি সংঘবদ্ধ চক্র। সাম্প্রতিক সময়ে পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে পরিচিত মুখ এবং সমাজকর্মীদের টার্গেট করে এই পোস্টগুলা করা হয়েছে সর্বশেষ গত ২১ মে ২০২৫ পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল আহম্মেদ কে জড়িয়ে মানহানিকর ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য মূলক মিথ্যা একটি পোস্ট করা হয়। সময়ের মধ্যেই সেই একই পোস্ট বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেয় একটি কুচক্রী মহল ।
এসব মানহানিমূলক পোস্ট, অবৈধ কাজের বিজ্ঞাপন,বাংলাদেশ থেকে ভুয়া লাইসেন্স বানিয়ে নিয়ে আসা সহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্দেশ্য মূলক সম্মানহানিমূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করায় গত ২৩ মে শুক্রবার বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল আহম্মেদ পর্তুগালের দশটির অধিক ফেইসবুক গ্রুপ ও দুইজন বাংলাদেশি এডমিনদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন সময়ে পর্তুগালের এই গ্রুপগুলোতে পর্তুগালে বসবাস করা বাংলাদেশীদের মধ্যে সামাজিক রাজনৈতিক এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য প্রণীত হয় সম্মানহানিকর বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করা হয়ে থাকে।
গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে রাসেল আহম্মেদ জানান, সম্প্রতি সময়ে পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ কে নিয়ে অপপ্রচার মানহানিকর বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়ে আসছে একটি কুচক্রী মহল। আমি আমার আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে শুক্রবার ২৩ মে সন্ধ্যায় প্রায় দশের অধিক ফেইসবুক গ্রুপ এডমিনদের নামে মামলা দায়ের করি। এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখতে গ্রুপ এডমিন দের আইনের আওতায় নিয়ে আসতেই মামলাটি করেছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি রনি মোহাম্মদ বলেন, শুধু সম্মানিত ব্যক্তিবর্গদের নিয়েই নয় বরং অবৈধ ব্যবসা,অবৈধ বিজ্ঞাপন,ফেক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিজ্ঞাপন বিভিন্ন অপকর্ম মূলক পোস্ট এসব গ্রুপে প্রচার করা হয়। এসব অপপ্রচারের ফান্দে পড়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই গ্রুপ এডমিনদের ধরতে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পর্তুগালের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে বলে জানান।
পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসের উচিত তাদের পরিচয় চিহ্নিত করে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মামলার আইনজীবী এডভোকেট মিগেল তাভারেস কারবালো বলেন , মামলাটি করা হয়েছে মানহানি মূলক অপপ্রচার বিরুদ্ধে, পাশাপাশি যেসব গ্রুপের এডমিনদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য পর্তুগাল পুলিশ (পিএসপি ) কাছে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর ২০১৫৪৫ / ২০২৫।
এডভোকেট মিগেল তাভারেস কারবালোর সহকারি শাহ মোহাম্মদ তানভীর জানান ,ইতিমধ্যে অবৈধ কাজে জড়িয়ে থাকার অপরাধে আমাদের অনেক বাংলাদেশীরা পর্তুগালের জেলখানাতে আছেন শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে অবৈধ ভাবে জালিয়াতি মূলক বিভিন্ন কাজ বিভিন্ন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছে পর্তুগাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যা আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য লজ্জার, আমাদের উচিত পর্তুগালে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। যারা অপরাধী তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় না দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের নাম প্রকাশ করার আহ্বান জানান ।