ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাকে দিয়ে শুরু হলো জুলাই গণহত্যার বিচার

  • পোস্ট হয়েছে : ২১ ঘন্টা আগে
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন টিম। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো জুলাই গণহত্যার বিচার।

আজ রোববার (১ জুন) দুপুরে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

জুলাই আগস্টজুড়ে সারাদেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায়ে গেলো ১২ মে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধেও আনা হয় ৫টি অভিযোগ।

এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সকল হত্যাকাণ্ডের সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী পাঁচ অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডিসেম্বরের মধ্যে জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। এই সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে। বিচার এমনভাবে করা হবে কেউ যেন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।

শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে।

বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়, যেগুলো অতীতে হয়েছে, সেগুলো যেন না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন দাবি করে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা অনেকটা দূর হয়েছে। অপরাধের কাঠামো এবং অপরাধী সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোটাদাগে তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা থেকে গেছে। গ্রেপ্তার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

এদিকে, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্টরুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। বিচারিক ট্রায়ালের যেকোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে তা প্রচার হতে পারবে।

বিজনেস আওয়ার/ ০১ জুন / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেখ হাসিনাকে দিয়ে শুরু হলো জুলাই গণহত্যার বিচার

পোস্ট হয়েছে : ২১ ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন টিম। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো জুলাই গণহত্যার বিচার।

আজ রোববার (১ জুন) দুপুরে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

জুলাই আগস্টজুড়ে সারাদেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায়ে গেলো ১২ মে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধেও আনা হয় ৫টি অভিযোগ।

এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সকল হত্যাকাণ্ডের সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী পাঁচ অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডিসেম্বরের মধ্যে জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। এই সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে। বিচার এমনভাবে করা হবে কেউ যেন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।

শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে।

বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়, যেগুলো অতীতে হয়েছে, সেগুলো যেন না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন দাবি করে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা অনেকটা দূর হয়েছে। অপরাধের কাঠামো এবং অপরাধী সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোটাদাগে তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা থেকে গেছে। গ্রেপ্তার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

এদিকে, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্টরুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। বিচারিক ট্রায়ালের যেকোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে তা প্রচার হতে পারবে।

বিজনেস আওয়ার/ ০১ জুন / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: