ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যা থাকতে পারে

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • 7

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আজ সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির কাছে এ বাজেট তুলে ধরবেন তিনি। এতে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব থাকতে পারে, যা বাজারের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ২.৫০ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হতে পারে। তাতে এই ব্যবধান দাঁড়াবে ৭.৫০ শতাংশ। বর্তমানে এই দুই ধরনের কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ। এক সময় এটি ১০ শতাংশ ছিল। গত চলতি অর্থবছরের বাজেটে এটি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। তালিকাভুক্ত ও তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়লে ভাল কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে কিছুটা আগ্রহী হতে পারে।

ঘোষিত বাজেটে মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো প্রকৃত অর্থে ব্যাংক না হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাংকের সমান হারে অর্থাৎ ৩৭.৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। আগামী অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। টানা দর পতনে নাজুক পুঁজিবাজারে আর্থিক সংকটে পড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কর কমানোর কারণে একটু স্বস্তি পাবে।

বাজেটে স্টক ব্রোকারদের দাবির প্রেক্ষিতে লেনদেনর উপর উৎসে করের হার কমানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। প্রস্তাব অনুসারে, আগামী অর্থবছরে ব্রোকারহাউজগুলোকে ০.০২ হারে এই কর দিতে হবে। বর্তমানে লেনদেনের উপর ০.০৫ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয় এসব প্রতিষ্ঠানকে। নিম্ন লেনদেনের বাজারে এই কর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছিল।

স্টেকহোল্ডাররা ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ওপর থেকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স (মূলধনী মুনাফার ওপর আরোপিত কর) প্রত্যাহারের দাবি জানালেও সম্ভবত সেটি করা হচ্ছে না। কোনো সূত্র থেকেই এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

বিজনেস আওয়ার/ ০২ জুন / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যা থাকতে পারে

পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আজ সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির কাছে এ বাজেট তুলে ধরবেন তিনি। এতে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব থাকতে পারে, যা বাজারের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ২.৫০ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হতে পারে। তাতে এই ব্যবধান দাঁড়াবে ৭.৫০ শতাংশ। বর্তমানে এই দুই ধরনের কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ। এক সময় এটি ১০ শতাংশ ছিল। গত চলতি অর্থবছরের বাজেটে এটি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। তালিকাভুক্ত ও তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়লে ভাল কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে কিছুটা আগ্রহী হতে পারে।

ঘোষিত বাজেটে মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো প্রকৃত অর্থে ব্যাংক না হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাংকের সমান হারে অর্থাৎ ৩৭.৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। আগামী অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। টানা দর পতনে নাজুক পুঁজিবাজারে আর্থিক সংকটে পড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কর কমানোর কারণে একটু স্বস্তি পাবে।

বাজেটে স্টক ব্রোকারদের দাবির প্রেক্ষিতে লেনদেনর উপর উৎসে করের হার কমানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। প্রস্তাব অনুসারে, আগামী অর্থবছরে ব্রোকারহাউজগুলোকে ০.০২ হারে এই কর দিতে হবে। বর্তমানে লেনদেনের উপর ০.০৫ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয় এসব প্রতিষ্ঠানকে। নিম্ন লেনদেনের বাজারে এই কর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছিল।

স্টেকহোল্ডাররা ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ওপর থেকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স (মূলধনী মুনাফার ওপর আরোপিত কর) প্রত্যাহারের দাবি জানালেও সম্ভবত সেটি করা হচ্ছে না। কোনো সূত্র থেকেই এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

বিজনেস আওয়ার/ ০২ জুন / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: