বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের তিন খান- শাহরুখ, সালমান ও আমির। তাদের মধ্যে কে সেরা, এই বিতর্ক যুগ যুগ ধরে চলছে। তিনজনই এক দশকে অভিষেক করে বলিউডে নিজেদের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন। তবে ৯০-এর দশকে এই তিনজনের মধ্যে কী সত্যিই প্রতিযোগিতা ছিল? এই দুই তারকা ও তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নিয়ে আমির কী ভাবেন?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাবে আমির খান খোলাখুলি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রতিযোগিতা ছিল। তবে সেটা ছিল ইতিবাচক। আমি তাদের নেগেটিভ প্রতিপক্ষ ভাবি না।’
‘সিতারে জমিন পার’ ছবির প্রচারণায় ব্যস্ত আমির অংশ নেন উদ্যোক্তা রাজ শামানির পডকাস্টে। সেখানেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, শাহরুখ ও সালমানের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। জবাবে আমির বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রতিযোগিতা তো ছিলই। প্রত্যেকেই চায় যে সে সবচেয়ে সফল হোক। তার কাজটাই মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করুক। এটা তো স্বাভাবিক। আমি এটাকে গুণ হিসেবেই গ্রহণ করি। প্রতিযোগিতাই ভালো কাজের শক্তি হিসেবে কাজ করে।’
তবে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি কখনোই নেতিবাচক মানসিকতা রাখি না। আমি এমন কিছু করতে পারি না। আমার দিক থেকে প্রতিযোগিতা সবসময়ই স্বাস্থ্যকর ছিল।’আমির খান বলেন, তিনি অন্যদের কাজ থেকে প্রেরণা নেন। কখনো হিংসা করেন না। তার মূল প্রতিযোগিতা সবসময়ই নিজের সঙ্গে ছিল।
তিনি উদাহরণ হিসেবে শাহরুখ খানের কালজয়ী ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির কথা বলেন। তার ভাষ্য, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে ডিডিএলজের মতো কোনো রোমান্টিক ছবি করতে পারব যেটা এমন হিট হবে। আমি আসলে ছবিটা খুব উপভোগ করি। শাহরুখ দারুণ অভিনয় করেছে। আমি সেটা দেখে আনন্দ পাই। ওটা দেখে তো মনে হয় না প্রতিযোগিতা করছি।’
তিনি সাক্ষাৎকারে তার ছেলের নায়ক হওয়া নিয়েও কথা বলেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তার ছেলে জুনায়েদ খানের সিনেমাটি তিনি দেখেছেন। ছবিটি চলেনি। কিন্তু তিনি উপভোগ করেছেন। অনেকে নেপোটিজম নিয়ে ট্রল করে। কিন্তু এর আসলে খুব একটা ভিত্তি নেই। মেধা ও পরিশ্রমই মানুষকে সফল করে।
আমির খান এখন প্রস্তুত তার পরবর্তী সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’ মুক্তির জন্য। ছবিটি হতে চলেছে তার ‘লাল সিং চাড্ডা’র পর বড়পর্দায় প্রত্যাবর্তন।
বিজনেস আওয়ার/ ০২ জুন / রানা