বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৮৩ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৩ জন।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী চারজন। হাসপাতালে ১৭ জন ও বাড়িতে একজনের আটজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় হাজার ৯২ জনে। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন। বিভাগ অনুযায়ী, ২৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, খুলনায় তিনজন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৫টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৮৩ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ২১ হাজার ৯২১ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৮ জনে। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম কোন রোগীর মৃত্যু হয়।
বিজনেস আওয়ার/০৯ নভেম্বর, ২০২০/এ