ঢাকা , বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৯৫ রানে থামল বাংলাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ১৩ মিনিট আগে
  • 2

স্পোর্টস ডেস্ক: গলে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত ও মুশফিক। সকালের শুরুতেই চার মেরে তিনশ পার করেন শান্ত। একটু পর অবশ্য আউট হতে পারতেন তিনি। আসিথার বলে আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে জীবন পেয়েও দেড়শ রান করতে পারেননি শান্ত। আসিথার বলেই বিদায় নেন তিনি। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ তুলে দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

ফেরার আগে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ২৭৯ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তাঁর ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি। ব্যাটিংয়ে এসে রয়েসয়ে শুরু করেছিলেন লিটন। ১০৯তম ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কাকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। সেটি ধরলেও মুঠোয় রাখতে পারেননি নিশাঙ্কা। ফলে ১৪ রানে জীবন পান লিটন। এরপরের দুই বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে দুটি চার মারেন লিটন। ১০৮.৩ ওভারের সময় লিটনের চারে সাড়ে তিনশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

থারিন্দু রত্নায়েকের পরের বলে লিটন আরেকটি চার মারেন। ৮৫ বলে এই জুটি পঞ্চাশ রান স্পর্শ করে। এই দুজনের ব্যাটে প্রথম সেশন নিরাপদে পার করে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরই দেড়শ রান পার করেন মুশফিক। ২৮৪ বলে থারিন্দুকে ফাইন লেগে চার মার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তমবারের মতো এই মাইলফলক অর্জন করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। একটু পর ১২০ ওভারে ৪০০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। ১২২তম ওভারে হাফ সেঞ্চুরি পূরন করেন লিটন।

ডানহাতি ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৬৪ বলে। এটি লিটনের ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসের ১২৭তম ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়। যার ফলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি থামার পর ১৩৭.১ ওভারে সাড়ে চারশ রান পার করে বাংলাদেশ। একটু পরই ফিরে যান মুশফিক। ডাবল সেঞ্চুরির নেশায় ধীরগতিতে খেলতে থাকা মুশফিককে ফেরান আসিথা। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মুশফিক। আউট হয়েছেন ৩৫০ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে।

একটু পর আউট হয়েছেন লিটনও। থারিন্দুর লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন। ১১ চার ও এক ছক্কায় ১২৩ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। টিকতে পারেননি জাকের আলী অনিকও। মিলান রত্নায়েকের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। দ্রুতই ফিরে গেছেন নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামরাও। শেষের ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে। তৃতীয় দিনের শুরুতে ১৬ বল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল ইনিংস। যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১১ রান। হাসান মাহমুদ রান তুলতে থাকলেও নাহিদ রানা টিকতে পারেননি। আসিথা ফার্নান্ডোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। তাতে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৪৯৫ রানে। হাসান ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আসিথা, থারিন্দু ও মিলান।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জুন / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

৪৯৫ রানে থামল বাংলাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ১৩ মিনিট আগে

স্পোর্টস ডেস্ক: গলে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত ও মুশফিক। সকালের শুরুতেই চার মেরে তিনশ পার করেন শান্ত। একটু পর অবশ্য আউট হতে পারতেন তিনি। আসিথার বলে আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে জীবন পেয়েও দেড়শ রান করতে পারেননি শান্ত। আসিথার বলেই বিদায় নেন তিনি। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ তুলে দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

ফেরার আগে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ২৭৯ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তাঁর ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি। ব্যাটিংয়ে এসে রয়েসয়ে শুরু করেছিলেন লিটন। ১০৯তম ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কাকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। সেটি ধরলেও মুঠোয় রাখতে পারেননি নিশাঙ্কা। ফলে ১৪ রানে জীবন পান লিটন। এরপরের দুই বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে দুটি চার মারেন লিটন। ১০৮.৩ ওভারের সময় লিটনের চারে সাড়ে তিনশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

থারিন্দু রত্নায়েকের পরের বলে লিটন আরেকটি চার মারেন। ৮৫ বলে এই জুটি পঞ্চাশ রান স্পর্শ করে। এই দুজনের ব্যাটে প্রথম সেশন নিরাপদে পার করে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরই দেড়শ রান পার করেন মুশফিক। ২৮৪ বলে থারিন্দুকে ফাইন লেগে চার মার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তমবারের মতো এই মাইলফলক অর্জন করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। একটু পর ১২০ ওভারে ৪০০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। ১২২তম ওভারে হাফ সেঞ্চুরি পূরন করেন লিটন।

ডানহাতি ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৬৪ বলে। এটি লিটনের ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসের ১২৭তম ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়। যার ফলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি থামার পর ১৩৭.১ ওভারে সাড়ে চারশ রান পার করে বাংলাদেশ। একটু পরই ফিরে যান মুশফিক। ডাবল সেঞ্চুরির নেশায় ধীরগতিতে খেলতে থাকা মুশফিককে ফেরান আসিথা। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মুশফিক। আউট হয়েছেন ৩৫০ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে।

একটু পর আউট হয়েছেন লিটনও। থারিন্দুর লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন। ১১ চার ও এক ছক্কায় ১২৩ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। টিকতে পারেননি জাকের আলী অনিকও। মিলান রত্নায়েকের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। দ্রুতই ফিরে গেছেন নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামরাও। শেষের ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে। তৃতীয় দিনের শুরুতে ১৬ বল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল ইনিংস। যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১১ রান। হাসান মাহমুদ রান তুলতে থাকলেও নাহিদ রানা টিকতে পারেননি। আসিথা ফার্নান্ডোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। তাতে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৪৯৫ রানে। হাসান ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আসিথা, থারিন্দু ও মিলান।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ জুন / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: